Bangla News Dunia, Pallab : ভারতের (India) উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump)। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য নিয়ে তিনি যে অসন্তুষ্ট, তা স্পষ্টও করে দিয়েছেন তিনি। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমেরিকার আরও কাছাকাছি আসতে চাইছে ভারতের ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তান। কারণ চলতি মাসে ফের মার্কিন সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান (Pakistan army chief) আসিম মুনির (Asim Munir)। দু’মাসের মধ্যে এটি তাঁর দ্বিতীয় ওয়াশিংটন সফর (Washington visit) হতে চলেছে। এতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট।
আরও পড়ুন : মাসিক ঘরে বসে পাবেন 10,000 টাকা ! তাও আবার ভারত সরকারের অনুমোদনে
সূত্রের খবর, আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ড কমান্ডার (CENTCOM) জেনারেল মাইকেল কুরিলার বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন পাক সেনাপ্রধান। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক অভিযানের তত্ত্বাবধানকারী ছিলেন ‘ফোর স্টার’ সেনা জেনারেল কুরিলা। চলতি মাসের শেষের দিকেই অবসর নিতে চলেছেন তিনি। এই কুরিলাই সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানকে ‘অসাধারণ অংশীদার’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ দমন বিশ্বে পাকিস্তান একটি অসাধারণ অংশীদার… তাই আমাদের পাকিস্তান এবং ভারত উভয়ের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক স্থাপন করা দরকার।’ পাকিস্তানের সন্ত্রাস মদত দেওয়া নিয়ে যখন ভারত কড়া বার্তা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছিল, ঠিক তখনই পাকিস্তানের প্রতি আমেরিকার এই প্রশংসা সামনে এসেছিল। যা স্বাভাবিকভাবেই ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি।
তবে আমেরিকার সঙ্গে যে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে তা গত কয়েকমাসেই বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়েছে। পহেলগাও হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের কয়েক সপ্তাহ পরই গত জুন মাসে আমেরিকায় ট্রাম্পের সঙ্গে একান্তে মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠক করেছিলেন মুনির। এটি ইতিহাসে প্রথমবার ছিল যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনও সরকারি আধিকারিকের উপস্থিতি ছাড়াই একজন পাকিস্তানি সেনাকর্তার সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন। এমনকি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত থামাতে প্রকাশ্যে মুনিরের ভূমিকার প্রশংসাও করেছিলেন ট্রাম্প। এরপরই ‘পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর’ জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করার পক্ষে সমর্থনও জানিয়েছিলেন পাক সেনাপ্রধান। তার কিছুদিন পর পাকিস্তান সরকারও আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পকে মনোনীত করে।