Bangla News Dunia, সঙ্গীতা দত্ত রায় :- করোনা পরিস্থিতিকে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ভারতের সামনে সুযোগ রয়েছে বিশ্বকে পথ দেখানোর। বিশিষ্ট শিল্পপতি কিরণ মজুমদার -এর মতে ভারত তার দক্ষতা ও সামর্থ্যকে মূলধন করেই জৈবপ্রযুক্তি শিল্পে সেরার আসন দখল করতে পারে। বেনেট বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত করোনা সংক্রান্ত একটি আলোচনায় বৃহস্পতিবার বায়োকন লিমিটেডের চেয়ারপারসন তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিরণ বলেন -‘ এখনই সুবর্ণ সুযোগ। সমগ্র বিশ্বেই করোনা পরীক্ষার কিটের অভাব দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি সংস্থা অল্প সময়ে রিয়েলটাইম পলিমারেজ চেন রিয়্যাকশনের উপযোগী সেই কিট বানাতে সক্ষম। এই দক্ষতা ও সামর্থ্যকে শিল্পের কাজে লাগাতে হবে। ‘
[ আরো পড়ুন : লকডাউনে ধুঁকছে অর্থনীতি , প্যাকেজ ঘোষণা করলো RBI ]
বর্তমানে এ দেশেও প্লাজমা থেরাপি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের প্লাজমায় করোনা চিকিৎসার এন্টিবডি পাওয়া যাচ্ছে যা করোনাকে প্রতিরোধ করবে।দিল্লি ,কেরল ,মহারাষ্ট্র ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু করে দিয়েছে। যেসব রোগীরা সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছে তাদের রক্তে এন্টিবডি আরও বেশি পাওয়া যাবে যা থেকে সিনথেটিক এন্টিবডি ককটেলও উৎপাদন করা যাবে।
কিরণ আরও বলেন -‘ প্রথমে মাই ল্যাব ও পরে অনেকগুলি সংস্থাই কিট তৈরী করেছে। ‘তার পরামর্শ সম্পূর্ণ কিট তৈরী না করে এই কিটের উপকরণ তৈরিতে বেশি সংস্থা কাজ করুক। পরে সেগুলো থেকে সহজেই কিট তৈরী করা যাবে। তাহলেই ভারত বিশ্বের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হতে পারবে। বহুজাতিক সংস্থা ফুলফোর্ডের প্রেসিডেন্ট কেজি অনন্তকৃষ্ণান বলেন -করোনা চিকিৎসায় ওষুধ শিল্পের পাশাপাশি কিট ও ভ্যাকসিন শিল্পের ক্ষেত্রেও ভারতের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।