ভারতীয় রাজনীতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে একটি নতুন বিল পেশ করতে চলেছে, যা দুর্নীতি দমনে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই বিল আইনে পরিণত হলে, গুরুতর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মন্ত্রীরা তাদের পদ হারাতে পারেন। এই পদক্ষেপকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : চাঁদে মানুষ পাঠাচ্ছে ভারত, ইতিহাস গড়ার পথে ISRO
নতুন বিলের মূল বিষয়বস্তু
এই বিলের প্রধান উদ্দেশ্য হলো উচ্চ পদে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির জন্য দায়বদ্ধ করা। বিলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
- বাধ্যতামূলক পদত্যাগ: যদি কোনও প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মন্ত্রী গুরুতর ফৌজদারি মামলায় একটানা ৩০ দিন আটক থাকেন, তবে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। এক্ষেত্রে, সেই ফৌজদারি অপরাধে ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা থাকতে হবে।
- রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা: যদি কোনও অভিযুক্ত নেতা ৩০ দিনের মধ্যে পদত্যাগ না করেন, তাহলে ৩১ দিনের মাথায় রাষ্ট্রপতি তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখবেন। কিছু ক্ষেত্রে, এই অপসারণ স্বয়ংক্রিয়ভাবেও হতে পারে।
- সাংবিধানিক সংশোধন: এই বিল কার্যকর করার জন্য সংবিধানের ৭৫, ১৬৪ এবং ২৩৯ নম্বর ধারায় সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে, উচ্চ পদে থাকা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের অপসারণের জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি হবে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিতর্ক
দেখা গেছে যে, অনেক নেতা গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় টিকে থাকছেন। এটা মনে করা হচ্ছে যে, এই নতুন বিল জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং কোনও নেতাই আইনের ঊর্ধ্বে নন, এই বার্তা দেবে।