Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:-ভুতুড়ে ভোটার বিতর্কে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণ নিয়ে পদক্ষেপ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার পর তিন মাস সময় চেয়ে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছিল, ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর (Epic Number) ইস্যু করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার একটি বৈঠক ডেকে সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, একই এপিক নম্বর হলেও রাজ্য এবং ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোট কেন্দ্র আলাদা। কমিশন এটাও স্পষ্ট করেছে, এপিক কার্ডে যে কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম থাকবে সেখানেই ভোট দেওয়া যাবে। অন্য কোথাও ভোট দিতে পারবেন না ভোটার। তৃণমূল এই নিয়ে অভিযোগ তোলার পরই তাদের সমর্থন করেছে কংগ্রেস, এনসিপির মতো দল। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টির আঁচ গিয়ে পড়েছে দিল্লিতে। তারপরই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন:- Mutual Fund থাকলেই এই বিরাট সুবিধা আপনিও পাবেন। এক ক্লিকে জেনে নিন
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের ডাকা এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, আধার কমিশনের সিইও, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রের সচিব এবং কেন্দ্রীয় আইনসচিবের থাকার কথা। সব জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেও এই সংযুক্তিকরণ নিয়ে পরামর্শ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। অনুমান করা হচ্ছে, কোন প্রক্রিয়ায় আধার-ভোটার সংযুক্তিকরণ করা যেতে পারে, হলে কতদিনের মধ্যে হতে পারে, সেসব বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হতে পারে।
অনলাইন পদ্ধতিতে ভোটার লিস্টে নাম তোলার সুযোগ নিয়ে, কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ভোটার লিস্টে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার রয়েছে বলেও ‘প্রমাণ’ দেখিয়েছিল তৃণমূল। তারপরই কমিশনের তরফে স্পষ্ট দাবি করা হয়, একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকা মানেই যে নকল বা ভুয়ো ভোটার নয়। যদিও কমিশনের এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাঁদের যুক্তিতে অনড়। তাও ইস্যুটি নিয়ে তারা ভাবছে এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে তার সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:- ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের এটা শেখান। জানুন কি মত হার্ভার্ড অধ্যাপকের ?
আরও পড়ুন:- এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম জায়গা, যেখানে মানুষ পৌঁছলে আর ফিরতে পারবে না, বিস্তারিত জেনে নিন