Bangla News Dunia, দীনেশ :- অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু নিপীড়নের নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশে নববর্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা (Mangal Shobhajatra) নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Dhaka) চারুকলা অনুষদ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার ওতোপ্রোতো যোগ আছে। স্বৈরাচারী শাসনের বিরূদ্ধে সাধারণ মানুষের ঐক্য এবং শান্তির বিজয় ও অপশক্তির অবসান কামনায় ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয়েছিল এই শোভাযাত্রা। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে এই যাত্রা এক ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব হিসাবে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, এই মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে এবার ফতোয়া জারি করেছে ইসলামি মৌলবাদীরা।
আরও পড়ুন:- প্রতিমাসে ফ্রিতে রেশন পেতে চান? তার জন্য কি করতে হবে? এক ক্লিকে জেনে নিন
‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর তরফে জানানো হয়েছে, নববর্ষ উদযাপনে ইসলাম সমর্থিত ধারণাকে তুলে ধরতে। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ইসলামি মৌলবাদী এই সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তাঁর কথায়, নববর্ষের দিন অনুষ্ঠান করা গেলেও সেই দিন কোনও যাত্রা করলে তাতে মঙ্গল হবে, এই বিশ্বাসটি দোষের। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে কিছু করা চলবে না। এমনকি মঙ্গলযাত্রার ঐতিহ্য অনুযায়ী এই শোভাযাত্রায় হাতি, ঘোড়া, পেঁচা, মাছ, বাঘ… ইত্যাদি বাংলার সুপরিচিত পশুপাখি বা মঙ্গলঘটের মতো মঙ্গলচিহ্নের প্রতিকৃতি থাকে। সেই সব ব্যবহারের বিরুদ্ধেও ফতোয়া জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:- চলে এলো নয়া Aadhar App, আর আধারের কপি রাখতে হবে না সঙ্গে। বিস্তারিত জেনে নিন
এবিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছেন, ১০ এপ্রিল মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি জানান, এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালিদের পাশাপাশি অংশ নেবেন চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারো সহ বাংলাদেশের সকল জাতিগোষ্ঠী ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন:- একবার রিচার্জে চলবে পাঁচটি সিম। ধামাকাদার প্ল্যান আনলো এই কোম্পানি