ময়মনসিংহের ভাঙা বাড়ি আদৌ সত্যজিতের পূর্বপুরুষের ভিটে নয় ! কী জানাল বাংলাদেশ সরকার ?

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের বসত বাড়ি ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায়। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্ক ছড়িয়েছিল এপার বাংলাতে। কিন্তু সেই বিতর্কের আবহেই বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে, যে বাড়িটি ভাঙা হয়েছে সেটি আদৌ সত্যজিৎ রায়ের পুর্বপুরুষদের ভিটে নয়। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বাড়িটি তৈরি করেছিলেন স্থানীয় জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী। বর্তমানে বাড়িটি সরকারের মালিকানাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন : টাকা না থাকলেও চালানো যাবে অ্যাকাউন্ট ! ব্যাংক গুলির তরফে বিরাট সুখবর

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যে বাড়িটি ভাঙার কাজ চলছে সেই বাড়িটি স্থানীয় জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী তৈরি করেছিলেন। বাড়িটির পাশেই রয়েছে তাঁর নামাঙ্কিত ‘শশী লজ’, যেখানে থাকতেন জমিদারের কর্মচারীরা। সরকারের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে যে, স্থানীয় প্রবীণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেও তাঁরা নাকি এটাই জানতে পেরেছেন। জমিদারি প্রথা অবসানের পর বাড়িটির মালিকানা চলে যায় সরকারের হাতে। এরপর সরকার সেটিকে দেশের ‘শিশু অ্যাকাডেমি’-কে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ২০১৪ সালে শিশু অ্যাকাডেমি তাঁদের অফিস অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বাড়িটি পরিতক্ত অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৪ সালে বাড়িটিতে অর্ধস্থায়ী একটি ভবন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত মতোই নাকি বাংলাদেশ সরকার শিশু অ্যাকাডেমির অনুমতি নিয়ে বাড়িটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৭ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাড়িটি ভাঙার কথা প্রকাশ্যে আনা হয়।

প্রসঙ্গত, এই বাড়িটি ভেঙে ফেলার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য তিনি কেন্দ্রের কাছে আর্জিও জানিয়েছিলেন। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে নয়াদিল্লি। একটি বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রের তরফে জানান হয়, বাড়িটির সংস্কার প্রয়োজন। বাড়িটি ভেঙে ফেলার এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার কথাও বলা হয় ওই বিবৃতিতে। নয়াদিল্লির তরফে এও জানান হয় যে, বাড়িটির সংরক্ষণ এবং পূনর্নিমানের জন্য ভারত অর্থসাহায্য করতেও প্রস্তুত। সেই আবহেই এবার বাংলাদেশের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানান হল যে, বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের নয়।

তবে ওই এলাকার সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের একটি ক্ষীণ সংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, ওই বাড়িটির সামনে যে রাস্তাটি রয়েছে সেটির নামকরণ করা হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের প্রপিতামহ হরকিশোর রায়ের নামে। রাস্তাটির নাম হরকিশোর রায় রোড। ওই রাস্তাতেই রায় পরিবারের একটি বাড়ি ছিল বলেও জানান হয়েছে ওই বিবৃতিতে। তবে বিবৃতিতে এও দাবি করা হয়েছে যে, বহুবছর আগেই নাকি সেই বাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে তৈরি হয়েছে এক বহুতল ভবন।

আরও পড়ুন : NEET UG 2025-র কাউন্সেলিং কবে ? জানুন সম্ভাব্য দিনক্ষণ, বিজ্ঞপ্তি এমসিসি-র

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন