মহিলাকে গণধর্ষণ, তাঁর 5 বছরের মেয়েকে গলা টিপে খুন ! অভিযুক্তদের মধ্যে 3 জন নাবালক

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- 35 বছরের মহিলা ও তাঁর 5 বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ 4 জনের বিরুদ্ধে ৷ তাদের মধ্যে 3 জন নাবালক ৷ অভিযোগ, স্বামী বাড়িতে না-থাকার সুযোগ নিয়ে ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পাড়ারই কয়েকজন ৷ তারপর একটি আবর্জনা স্তূপে নিয়ে গিয়ে প্রথমে চারজনে মিলে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷ মেয়ের হাত-পা বেঁধে রেখে দেওয়ার পর, তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্তরা ৷ পরে, ওই মহিলা অজ্ঞান হয়ে যান ৷ মেয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকে পাশেই ৷

হরিয়ানার জিন্দ জেলার বস্তির এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ প্রতিবেশীদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই পরিবার কাগজ কুড়িয়েই তাদের রুটি-রুজি চালাত ৷ বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে প্রতিবেশীরা জানান, তাঁরা এদিন সকালে দেখতে পান আবর্জনা স্তূপে মা ও মেয়ে পড়ে রয়েছে ৷ মেয়ের দেহ তখন ঠান্ডা ৷ দু’জনকেই উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁরা ৷ বিষয়টি যাতে বেশি জানাজানি না-হয় তাই মহিলার পরিবারের বাকি সদস্যরা শিশুটির মৃতদেহ এলাকার বানখণ্ডি মহাদেব মন্দিরের কাছের শ্মশানে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ৷

এদিকে, মহিলার জ্ঞান ফিরতেই তিনি মঙ্গলবার রাতে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলেন পুলিশকে ৷ সেইসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর মেয়েকেও ধর্ষণ করা হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশের আধিকারিকরা কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নাবালিকার মৃতদেহ তুলে আনেন । পুলিশ 4 অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, খুন এবং অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ।

নির্যাতিতা মহিলা পুলিশকে জানান, ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের পর বিক্রি, তাতেই দিন গুজরান হয় তাঁদের । প্রায় 15 দিন আগে, তাঁর স্বামীর সঙ্গে অমিত এবং তার বন্ধুদের ঝগড়া হয়, ওরা এই পাড়াতেই থাকে। ঝগড়ার পর স্বামীর মাথায় চোট লাগে বেশ গুরুতর, তাই তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তখন তাঁর স্বামী ও অমিতদের বুঝিয়ে বিষয়টি শান্ত করে। কিন্তু, এরপরও অমিত এবং তার নাবালক ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা মনের মধ্যে রাগ পুষে রাখে বলে অভিযোগ ৷ মঙ্গলবার রাতে তা ভয়ঙ্কর রূপ নেয় ৷

কবে ঘটেছে ঘটনাটি ? মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ওইদিন রাতে তাঁর স্বামী আবর্জনা কুড়োতে বেরিয়ে ছিলেন ৷ নির্যাতিতা তার তিন সন্তানের সঙ্গে ছোট কুঁড়েঘরে ঘুমোচ্ছিলেন । রাতে, অমিত তার তিন বন্ধুকে নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। অভিযুক্তরা তাঁকে অচৈতন্য করার পর পাঁচ বছরের মেয়েকেও জোর করে একটি আবর্জনার স্তূপে তুলে নিয়ে যায় । সেখানেই নাবালিকাকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ । আরও অভিযোগ, এরপর, চার অভিযুক্তই একে একে মহিলাকে ধর্ষণ করে । বছর পঁয়ত্রিশের মহিলাকে আবর্জনার স্তূপে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে তারা পালিয়ে যায় ।

মা ও মেয়েকে উদ্ধার – পরদিন অর্থাৎ বুধবার সকালে, বস্তির অন্যান্য মহিলারা যখন ওই এলাকায় শৌচকর্ম করতে যান তখন তাঁরা দেখতে পান আবর্জনার স্তূপে মা ও মেয়ে পড়ে রয়েছে ৷ উদ্ধারের পর বাড়িতে ওই নির্যাতিতাকে নিয়ে এলেও তাঁরই পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় শিশুটির শেষকৃত্য করার ৷ শিশুটির মৃত্যু লুকোনোর জন্যই তারা এমনটা করে বলে অভিযোগ ৷ বৃহস্পতিবার যখন মহিলার জ্ঞান ফিরে আসে, তখন তিনি পুরো ঘটনাটি খুলে বলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, তাঁর 5 বছরের মেয়েকেও ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপরই পুলিশের তরফে নাবালিকার মৃতদেহ তুলে আনা হয়।

পুলিশি তদন্ত এবং ময়নাতদন্ত- সিটি পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে । তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই যশবীর বলেন, “চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ তাদের মধ্যে তিনজন নাবালক বলে জানা গিয়েছে। নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে । অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে এবং শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

আরও পড়ুন:- সম্পূর্ণ বন্ধ বাণিজ্য! কত কোটির ক্ষতির মুখে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ? জেনে নিন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন