Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : মাঙ্কিপক্সের পর বিশ্বে নয়া আতঙ্কের নাম মারবার্গ ভাইরাস। ইবোলা জাতীয় এই ভাইরাস ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে আফ্রিকার ঘানায়। দু’জন নাগরিকের শরীরে মারবার্গ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল সম্প্রতি। রবিবার দু’জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে সেই দেশের প্রশাসন। এই ভাইরাস অত্যন্ত দ্রুতহারে সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। মৃত্যুর হারও বেশি।
WHO জানাচ্ছে, একাধিক উপসর্গ থাকায় ঘানার ওই দুই ব্যক্তির শরীরে মারবার্গ থাবা বসিয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এরপরই গত ১০ জুলাই তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ফের একবার সন্দেহ দূরীকরণে সেনেগালের ল্যাবরেটরি থেকে রিপোর্ট নিশ্চিত করা হয়। ঘানা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সেনেগালের ডাকা অঞ্চলের পাস্তুর ল্যাব থেকে দুই আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করার পরই মারবার্গ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কোনওরকম উপসর্গ দেখা দিয়েই আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ঘানা প্রশাসন। টেস্টিং এবং ট্রেসিং বাড়ানোর কথাও বলা হচ্ছে। আফ্রিকার অন্য দেশেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ হিসেবে থাকে জ্বর, বমি ভাব, মাথা ব্যথা। বাদুর দ্বারা ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে WHO বিশেষজ্ঞরা।
১৯৬৭ সালে, পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে মারবার্গ বেশ বড় রকমের থাবা বসিয়েছিল। ঘানার আগে গিনিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। গত বছর অগস্ট মাসে এই মারবার্গ ভাইরাসে এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছিল বলে নিশ্চিত করা হয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল