Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল ৷ শুক্রবার মাঝরাতে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল 6.1 ৷ ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, গভীর রাত 2টো 51 মিনিটে হওয়া ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সিন্ধুপালচক জেলা ৷ যা রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে 65 কিলোমিটার দূরে ৷ সিকিমেও কম্পন অনুভূত হয় বলেও জানা গিয়েছে ৷
স্থানীয় সূত্রের খবর, নেপালের বিভিন্ন জায়গায় কম্পন অনুভূত হয় ৷ ভূমিকম্পের উৎসস্থল সিন্ধুপালচকের ভৈরবকুণ্ড এলাকা হওয়ায় কম্পনের মাত্রা সব থেকে বেশি অনুভূত হয় মধ্য ও পূর্ব নেপালে ৷ কম্পন অনুভূত হয় ভারতের সিকিম ও চিনের তিব্বতের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও ৷ ভূমিকম্প পরিমাপক কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সিকিমের ট্যাডং থেকে প্রায় 286 কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল ৷ কম্পন অনুভূত হয়েছে বিহারেও ৷ জানা গিয়েছে, পটনা, ভাগলপুর, কাটিহার, সিওয়ান, সমস্তিপুর, দ্বারভাঙা-সহ একাধিক এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, হিমালয়ের এই পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ ৷ এখানে ঘন ঘন কম্পন অনুভূত হয় ৷ সেকারণে, আফটারশকের কথা ভেবে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে ৷
আরও পড়ুন:- বার্ড ফ্লু হতে পারে আপনার বাড়ির পোষা প্রাণীদেরও, জানুন কীভাবে বাঁচবেন?
বছরের শুরুতেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছিল নেপাল-তিব্বত সীমান্ত ৷ সেবার পরপর দু’বার কম্পন অনুভূত হয়েছিল হিমালয়ের এই পার্বত্য অঞ্চলে ৷ ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপালের লবুচে থেকে 93 কিলোমিটার দূরে শিজাংয়ে ৷ সেবার রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল 7.1 ৷ তিব্বতের শিজাংয়ে দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে 4.7 ৷ দু’টি ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে 10 কিলোমিটার গভীরে ৷
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যেকটি ভূমিকম্পের মাত্রাই ছিল 4.8-এর উপরে ৷ কম্পন অনুভূত হয় কলকাতা, শিলিগুড়ি ও সিকিমে ৷ শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিহারেও ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয় ।
গত 10 দিনে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশের পাঁচটি জায়গা ৷ গত 25 ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল 5.1 ৷ গত মঙ্গলবার ভোরে কম্পন অনুভূত হয় কলকাতা, বাংলাদেশ ও ওড়িশার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ৷ এর আগে গত 17 ফেব্রুয়ারি ভোর পৌনে ছ’টা নাগাদ রাজধানী দিল্লিতে ভূকম্পন হয়েছিল ৷ ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছিল, রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পের মাত্রা ছিল 4.0 ৷ সেদিনই সকাল আটটা নাগাদ কেঁপে উঠেছিল বিহার ৷ এক্ষেত্রেও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল 4.0 ৷
প্রসঙ্গত, ভূগর্ভে উপস্থিত 7টি প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ভূমিকম্প হয়ে থাকে ৷ প্রতিটি দেশের সিসমিক মানচিত্রের নিরিখে মোট 4টি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা (জোন) রয়েছে ৷ সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকাগুলিকে রাখা হয়েছে জোন V-এ ৷ বিশ্বের 11 শতাংশ দেশ এই জোনের অন্তর্গত ৷ 18 শতাংশ দেশ রয়েছে পরবর্তী ভূমিকম্প প্রবণ জোন IV-এ ৷ 30 শতাংশ দেশ আংশিক ভূমিকম্প প্রবণ জোন III-এর অন্তর্গত এবং বাকি দেশগুলি রয়েছে জোন II-এ, যেখানে ভূমিকম্প হয় না-বললেই চলে ৷
আরও পড়ুন:- জালিয়াতি এড়াতে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আধার ? বিস্তারিত জেনে নিন