Bangla News Dunia, Pallab : সকলে কমবেশি জানি ভারতীয় পোস্ট অফিস (India Post) দেশের প্রতিটি প্রান্তে ডাক সেবা পৌঁছে দিতে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি স্কিম চালু করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আগ্রহী প্রার্থীরা পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে অল্প বিনিয়োগ করে আপনি প্রতি মাসে ভালো আয় করার সুযোগ পেতে পারেন। নিচে আমরা এই স্কিমের যোগ্যতা, বিনিয়োগের পরিমাণ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, আবেদন পদ্ধতি এবং সম্ভাব্য আয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আরও পড়ুন : প্রচন্ড গরমে রোদ লেগে মাথা যন্ত্রণা ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ
পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি স্কিমের উদ্দেশ্য
ভারতীয় পোস্ট অফিসের মূল লক্ষ্য হলো এমন এলাকায় ডাক সেবা প্রদান করা যেখানে পোস্ট অফিস স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় এলাকায় ডাক সেবার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পাবে। সাধারণ মানুষ সহজেই পোস্ট অফিসের সুবিধা পারবেন এবং সহজে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ই-কমার্স বিজনেসের সুবিধা পাবেন।
পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রকারভেদ
এক্ষেত্রে মোট ২ ভাবে পোস্ট অফিসের ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া হয়ে থাকে –
১. ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট: যেখানে পোস্ট অফিস নেই, সেখানে কাউন্টার পরিষেবা প্রদান করা।
২. ডাক এজেন্ট: শহর ও গ্রামে ডাকটিকিট ও স্টেশনারি বিক্রয় করা।
এক্ষেত্রে কি যোগ্যতা প্রয়োজন রয়েছে
- বয়স: আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে সর্বাধিক বয়সের কোন সীমারেখা নেই।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করলে এক্ষেত্রে আবেদন জানাতে পারবেন।
- কম্পিউটার জ্ঞান: এক্ষেত্রে কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতা থাকা বাঞ্ছনীয়।
- ভাষা দক্ষতা: অবশ্যই স্থানীয় ভাষা ও ইংরেজিতে পারদর্শিতা থাকতে হবে তাহলে সুযোগ পাবেন।
- প্যান নম্বর: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের লেনদেনে করা হয় তাই বৈধ প্যান কার্ড থাকা আবশ্যক।
ফ্রাঞ্চাইজি নিতে বিনিয়োগের পরিমাণ
- সিকিউরিটি ডিপোজিট: এক্ষেত্রে এককালীন পোস্ট অফিসে নিতে ১০,০০০ এককালীন সিকিউরিটি ডিপোজিট করতে হবে, যা পোস্ট অফিসে জমা থাকবে।
- অপারেশনাল খরচ: এছাড়াও স্থানীয় বাজার অনুযায়ী ভাড়ার খরচ, বিদ্যুৎ বিল এবং অন্যান্য খরচ এলাকা ভিত্তিক করতে হবে।