Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সঠিক কোর্স নির্বাচন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের কারণে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী চার বছরে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), কম্পিউটার বিজ্ঞান, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ডেটা সায়েন্স, এবং মেশিন লার্নিং সংক্রান্ত ক্ষেত্রে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের শীর্ষ ৫টি ডিগ্রি ও কোর্স, যেগুলোর মাধ্যমে সহজেই লক্ষ লক্ষ টাকার চাকরি পাওয়া সম্ভব—
১. ডেটা সায়েন্স
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ায় ডেটা সায়েন্স অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন একটি ক্ষেত্র। এই কোর্সের মাধ্যমে পরিসংখ্যান, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ও মেশিন লার্নিং শেখানো হয়।
বেতন: প্রতি বছর ৬ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কেন করবেন? বড় বড় সংস্থাগুলি এখন ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ডেটা ব্যবহার করছে, ফলে দক্ষ ডেটা সায়েন্টিস্টদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
২. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার তৈরির কাজ এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোর্সে কোডিং, ডিজাইনিং, সফটওয়্যার ডিপ্লয়মেন্ট ও সাপোর্ট শেখানো হয়।
বেতন: যোগ্যতা অনুযায়ী ৮ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কেন করবেন? ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ তৈরির কাজের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, ফলে দক্ষ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
৩. সাইবার নিরাপত্তা (Cyber Security)
সাইবার অপরাধ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের চাহিদাও তীব্র হয়েছে। ব্যাঙ্ক, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা, সরকার থেকে শুরু করে ছোট-বড় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই সাইবার নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে।
বেতন: প্রতি বছর ৬ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কেন করবেন? সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায়, এই ক্ষেত্রে দক্ষ পেশাদারদের চাকরির নিশ্চয়তা অনেক বেশি।
৪. তথ্য বিশ্লেষণ (Data Analytics)
কোম্পানিগুলি এখন ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও গ্রাহকদের অভ্যাস বুঝতে ডেটা বিশ্লেষণের ওপর নির্ভরশীল। এই কোর্সে বিজনেস অ্যানালিটিক্স, পরিসংখ্যান, ও প্রেডিক্টিভ মডেলিং শেখানো হয়।
বেতন: প্রতি বছর ৬ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কেন করবেন? তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত আরও ভালোভাবে নিতে পারছে, ফলে দক্ষ ডেটা অ্যানালিস্টদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
৫. ক্লাউড কম্পিউটিং
বর্তমানে Amazon Web Services (AWS), Microsoft Azure, Google Cloud-এর মতো ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে। ফলে ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টদের চাহিদা তুঙ্গে।
বেতন: প্রতি বছর ৮ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন:- ভারতের ইউটিউব রাজধানী বলেই বিখ্যাত, কীভাবে মিলল এই তকমা ? জেনে নিন