Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শিশুদের শাসন করা প্রতিটি বাবা মায়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তাদের তিরস্কার করে বা কঠোর শাস্তি দিয়ে শাসন করা উচিত। সঠিক উপায়ে শৃঙ্খলা শেখানোর মাধ্যমে শিশুরা কেবল দায়িত্বশীল হয় না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। যদি আপনি ভালবাসা, ধৈর্য সহকারে বাচ্চাদের সঠিক পথ দেখান, তাহলে তাঁরা সবকিছু বুঝতে পারবে এবং মেনে চলবে। আপনি যদি আপনার সন্তানদের রাগ না দেখিয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে চান, তাহলে কিছু সহজ এবং কার্যকর টিপস আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আসুন জেনে নিই এমন ১০টি সহজ টিপস।
১. বাচ্চাদের আগে থেকেই নিয়মগুলো বুঝিয়ে দিন – যদি আপনি চান যে শিশু কোনও ভুল না করুক, তাহলে তাকে আগে থেকেই স্পষ্ট করে বলুন কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। বারবার তিরস্কার করার পরিবর্তে, শুরু থেকেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দেওয়া ভাল।
২. ভাল কাজের প্রশংসা করুন- যদি শিশু ভাল কিছু করে, তাহলে তার প্রশংসা করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে নিজেই তার খেলনা সংগ্রহ করে অথবা সময়মতো তার বাড়ির কাজ করে, তাহলে “শাবাশ” বলুন অথবা তাকে হালকা আলিঙ্গন করুন। এটি তাকে আরও ভাল করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।
৩. তাকে কিছু পছন্দ করতে দিন – সন্তানের উপর সবকিছু চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে, তাকে কিছু বিকল্প দেওয়া ভাল। উদাহরণস্বরূপ, সে আগে খাবে নাকি কাজ সেরে খাবে ইত্যাদি। এটি তাকে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত হতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন:- শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে পায়ে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়, জেনে নিন
৪. শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, একটি বুদ্ধিমান পদ্ধতি অবলম্বন করুন – শিশুকে তার ভুলের প্রভাব অনুভব করান। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে তার খেলনা সংগ্রহ না করে, তাহলে পরের দিন তাকে কম খেলনা দিয়ে খেলতে দিন। এতে সে বুঝতে পারবে যে যখন সে গোলমাল করবে তখন কী হবে।
৫. শিশুর কাছ থেকে যেমনটা আশা করা যায় তেমন আচরণ করুন – যদি আপনি চান যে শিশু রাগে চিৎকার না করুক, তাহলে নিজে তার উপর চিৎকার করা এড়িয়ে চলুন। শিশুরা যা দেখে তাই শেখে।
৬. তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে দিন- প্রতিবার বাধা দেওয়ার চেয়ে শিশুকে চিন্তা করার সুযোগ দেওয়া ভাল। তাকে জিজ্ঞাসা করুন, “তুমি যদি এটা করো তাহলে কী হবে?” এতে সে নিজে চিন্তা করবে এবং তার ভুল সংশোধন করবে।
৭. শিশুর কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন- যদি শিশুটি রাগের বশে কিছু বলে, তাহলে তাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে, প্রথমে তার কথা শোনা ভাল। যখন সে অনুভব করবে যে তার কথার গুরুত্ব আছে, তখন সে তোমার কথাও শুনবে।
৮. প্রতিদিনের রুটিন ঠিক করুন- আপনার সন্তানের ঘুম, খেলাধুলো এবং পড়াশোনার সময় ঠিক করুন। এইভাবে, সে সবকিছুতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং তাকে বারবার বাধা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
৯. রাগ দেখানোর পরিবর্তে মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন- যদি শিশুটি কোনও ভুলের উপর অটল থাকে, তাহলে তাকে তিরস্কার করার পরিবর্তে, তার মনোযোগ অন্য কোনও দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া ভাল।
১০. ধৈর্য ধরুন এবং ভালবেসে ব্যাখ্যা করুন – শিশুকে শাসন করার সর্বোত্তম উপায় হল শান্ত এবং ধৈর্যশীল হওয়া। রাগের বশে চিৎকার করলে শিশুটিও একগুঁয়ে হয়ে উঠবে। যদি এই ছোট ছোট বিষয়গুলোর যত্ন নেওয়া হয়, তাহলে খুব বেশি কঠোরতা ছাড়াই শিশুরা ভালভাবে শৃঙ্খলা শিখতে পারবে এবং নিজেরাই দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারবে।