Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : বৈশাখের প্রবল গরমে হাঁসফাঁস করছে সকলে। যদি হয় ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয় তা হলে তো আর রক্ষে নেই। বিশেষত, শিশু এবং যাদের শরীর বেশি ঘামে, তাদের এই সময়টাতে বেশ যন্ত্রণা পোহাতে হয়। ঘামাচি আকারে ছোট হলেও কিন্তু খুব অস্বস্তিকর ! আমাদের গ্রীষ্ম প্রধান দেশেগুলির উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচি , র্যাশ, চুলকানির সমস্যাটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। চিন্তার কিছু নেই, সামান্য কিছু ঘরোয়া টোটকাতে মোকাবিলা করতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ত্বকের লোমকূপের ভিতর থেকে ঘাম বেরিয়ে আসে। এই ঘাম অতিরিক্ত গরমেও শরীরকে ঠান্ডা রাখে। কোনও কারণে এই ঘামে মিশে থাকা লবণের জন্য যদি লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেই অংশ দিয়ে ঘাম বের হতে পারে না। লোমকূপের সেই অংশটি ফুলে ওঠে। তবে, কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘামাচি হিসেবেও হয়ে থাকে। আসুন জেনে নিন গরমে ঘামাচির হাত থেকে বাঁচার কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায় —–
১. গরমকালে ঘাম হবেই। কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর ঘাম মুছে ফেলুন। ঘাম মোছার সময় অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মুছবেন না।
২. দিনে দু’বার স্নান করুন। স্নান করার সময় কম ক্ষারযু্ক্ত সাবান ব্যবহার করুন। ঘামাচি থাকলে বেশি ঘষবেন না। অল্প অল্প স্ক্রাব করুন।
৩. স্নানের জলে অ্যান্টি-সেপটিক লোশান ব্যবহার করুন। তা ছাড়াও স্নানের জলের বালতিতে লেবুর রস, নিম পাতার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। ত্বক ফ্রেশ থাকবে এবং জীবাণুও কম হবে।
৪. ঘামাচি হলে একদম চুলকাবেন না। অ্যালোভেরার রস, নিম পাতার রস, পাতিলেবুর রস জলে মিশিয়ে পাতলা করে নিয়ে লাগাতে পারেন।
৫. ট্যালকম পাউডার ব্যবহার না করাই ভালো।লোমকূপের মুখ বুজে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৬. গামলায় ঠান্ডা জল বা বরফ নিয়ে ঘামাচির জায়গাগুলিতে দিন। অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত রাখবেন।
৭. ঘামাচি তাড়াতে নিমপাতা এক দারুণ প্রাকৃতিক দাওয়াই। গোলাপজল মিশ্রিত নিমপাতার রস ঘামাচির উপর লাগালে ঘামাচি মরে যায়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল