এতদিন বিশ্বের ধনীদের তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। এবার সেই খেতাব হারালেন তিনি। ব্লুমবার্গের সদ্যপ্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, এবার টেসলা কর্তার ওই জায়গা দখল করলেন ল্যারি এলিসন (Larry Ellison)। কে এই ল্যারি এলিসন? তিনি কম্পিউটার সফটওয়্যার সংস্থা ওরাক্যলের (oracle) বর্তমান চেয়ারম্যান ও ওই সংস্থার চিফ টেকনোলজি অফিসার।
বুধবার নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ সম্পত্তির নিরিখে মাস্ককে টপকে গিয়েছেন ল্যারি। বর্তমানে মাস্কের ৩৮৫০০ কোটি ডলারের সম্পত্তি রয়েছে। সেখানে ল্যারির সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৩০০ কোটি ডলারে। মঙ্গলবার ওরাক্যলের তরফে জানানো হয়, আগামী দিনে আরও উন্নতি করতে চলেছে সংস্থাটি। এরপর বুধবার ল্যারির শেয়ারের পরিমাণ আরও ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়।
ল্যারি কলেজের পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ওরাক্যল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ধীরে ধীরে সেই ওরাক্যল গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার সিইও পদে ছিলেন ল্যারি। ৮১ বছর বয়সি ল্যারির মালিকানায় রয়েছে ওরাক্যলের ৪০ শতাংশ শেয়ার।
চলতি বছরে জুলাই মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় থাকা মার্ক জুকারবার্গকে সরিয়ে ওই জায়গা দখল করেছিলেন ল্যারি। তার মাস দুয়েকের মধ্যে তিনি বিশ্বের প্রথম ধনী ইলন মাস্ককে টপকে গেলেন।
কিন্তু ওরাক্যলের মূল্য হঠাৎ এত বাড়ছে কী ভাবে? নেপথ্যে রয়েছে দু’টি কারণ। প্রথমত, বর্তমানে এআইয়ের আকাশছোঁয়া চাহিদা। আর সেই চ্যাটজিপিটির মতো একাধিক এআই (AI) প্ল্যাটফর্মের দায়িত্ব সামলায় ওরাক্যল। চ্যাটজিপিটি আত্মপ্রকাশের পর থেকে ওরাক্যলের শেয়ার তিনগুণ বেড়েছে। এজন্য দিন দিন ওরাক্যলের চাহিদা এবং মূল্য দুই’ই বাড়ছে।
দ্বিতীয়ত, দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ল্যারি। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে এসে বন্ধু ল্যারির পাশে দাঁড়াতে ভোলেননি ট্রাম্প। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বন্ধু তালিকা থেকে মাস্ককে সরিয়ে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হতে কিছুটা হলেও সুবিধা হয়েছে ল্যারির।