Bangla News Dunia, দীনেশ :- বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তিনিই আবার ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই)-র প্রধান। সরকারি খরচ কমানোর দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে মার্কিন সরকারের লক্ষাধিক কর্মীকে ছাঁটাই করে নজির তৈরি করেছেন এলন মাস্ক। সেই ‘কৃতিত্ব’-র কারণে এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে গোটা আমেরিকায়। প্রায় সব রাজ্যে মাস্ক পরিচালিত বৈদ্যুতিন গাড়ি নির্মাতা সংস্থা টেসলার শোরুমগুলির বাইরে অবস্থান শুরু করেছেন শ’য়ে শ’য়ে বিক্ষোভকারী।
টেসলার অন্তত ২৭৭টি শোরুম এবং পরিষেবাকেন্দ্র ঘেরাও করা হয়েছে। ডিওজিই-র প্রধানের পদ থেকে মাস্ক ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত এই ঘেরাও চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ওয়াশিংটন, শিকাগো, ইন্ডিয়ানাপলিস, সিনসিনাটি এবং সিয়াটলের মতো বড় শহরে টেসলার শোরুমের বাইরে জনতা-পুলিশ ধস্তাধস্তি হয়েছে। ভার্জিনিয়া, পেনসিলভেনিয়া এবং কলোরাডোতে মিছিল বেরিয়েছে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে। স্লোগান উঠেছে, ‘হে, হে, হো, হো, এলন মাস্ককে যেতে হবে’।
আরও পড়ুন:- জেল সুপারের কাছে ‘লিভ ইন’ করার আর্জি সাহিল-মুসকানের, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
মিছিলকারীদের একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইস্কুল শিক্ষক ডেনিস ফ্যাগালি বলেন, ‘আমরা একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে বাস করছি। আমাদের এটি বন্ধ করতে হবে, নাহলে আমরা আমাদের দেশ এবং দেশের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলিকে হারাব।’ আমেরিকার রেশ ধরে ইউরোপের শতাধিক জায়গায় মাস্কবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। লন্ডনে টেসলার একটি শোরুমের বাইরে বিক্ষোভ চলাকালীন রাস্তা দিয়ে যাওয়া গাড়িচালকদের হর্ন বাজিয়ে আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের একজনের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি অভিবাদন জানানোর ছবির পাশে মাস্ককে দেখানো হয়েছে। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথগ্রহণের পর এক অনুষ্ঠানে মাস্ক নাৎসি কায়দায় অভিবাদন জানান বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ উসকে দেওয়া হয়েছে প্ল্যাকার্ডে।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে মাস্কের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। দিনকয়েক আগে টেসলার শোরুমে ভাঙচুর ও তাদের গাড়িতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। একে ‘ঘরোয়া সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করেছেন আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি। মাস্কের পদত্যাগ নিয়ে নানা মহলে জল্পনা চলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, মাস্কের সরকারি খরচ কমানোর পদ্ধতি নিয়ে ট্রাম্প মন্ত্রীসভার অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন:- কম বিনিয়োগে ১০টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া, বিস্তারিত জেনে নিন
বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মন্ত্রীসভার বৈঠক। সেখানে বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর বিরুদ্ধে যথেষ্ট সংখ্যায় কর্মীকে ছাঁটাই না করার অভিযোগ তোলেন মাস্ক। পালটা সরব হন রুবিও। পরিবহণসচিব শন ডাফির সঙ্গেও মাস্কের তুমুল কথা কাটাকাটি হয়। সব মিলিয়ে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে বিশ্বের একনম্বর ধনকুবের।