Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে 5 ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, দেউচা-পাচামিতে খনন কাজ শুরু হতে চলেছে । সেইমতো 7 ফেব্রুয়ারি দুপুরে খনন কাজ শুরু করতেই শুরু হয় বিক্ষোভ । বন্ধ হয়ে যায় খনন কাজ ৷ বিক্ষোভের মুখে পড়েন বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম ৷
এদিকে সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী দেউচা-পাচামিতে খনন কাজ শুরুর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ৷ ফলে রাজ্যের ‘মুখ’ বাঁচাতে ঘুম ছুটেছিল প্রশাসনের ৷ তড়িঘড়ি রাজ্য গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মহম্মদবাজার বিডিও অফিসে জেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ৷ প্রায় 4 ঘণ্টা বৈঠক হয় ৷ তারপরেই জেসিবি মেশিন নিয়ে মথুরাপাহাড়ি পৌঁছন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার । তাঁদের দেখেই লাঠি হাতে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা । কোনও রকমে বিক্ষোভের মাঝেই শুরু হয় খনন কাজ ৷
বিক্ষোভের মাঝেই শুরু হয় খনন কাজ
রাজ্য সরকারের দেউচা-পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পটি আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ প্রকল্প হবে, এমনটাই দাবি রাজ্য সরকারের । এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি, এশিয়ার সর্ববৃহৎ ৷ এতে 1,240 মিলিয়ন টন কয়লা এবং 675 মিলিয়ন টন বেসাল্ট মজুদ রয়েছে । খোলা মুখ খনির পাশাপাশি সুড়ঙ্গ করেও কয়লা উত্তোলনের চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রশাসনের ৷ যাতে বেশি সংখ্যক মানুষের জমি অধিগ্রহণ করতে না-হয়, তার জন্যই এই নতুন পরিকল্পনাও নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে ।
আরও পড়ুন:- মহিলাদের জন্য সেরা 5 অনলাইন কোর্স। বাড়ি বসে শিখে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা রোজগার করুন
চলছে খাস জমিতে বসতি গড়ে তোলা মানুষদের পাট্টা তৈরির কাজ
বাংলায় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম খোলা মুখ কয়লাখনির খনন কাজ আরম্ভ হয়েছে বেশ কয়েকদিন হল । আপাতত সরকার সরকারি জমিতেই খনন কার্য শুরু করেছে । পুলিশি প্রহরায় রাতদিন চলছে এই কয়লাখনির কাজ । এই বিস্তীর্ণ এলাকায় আছে প্রচুর মহুয়া গাছ । আদিবাসীদের দাবি ছিল, এই গাছগুলি যেহেতু তাঁদের আস্থার সঙ্গে জড়িয়ে, তাই কেটে বা মেরে ফেলা যাবে না ৷ সেই দাবি মেনে সরকার বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গাছগুলিকে স্থানান্তরিত করতে শুরু করেছে । পাশাপাশি চলছে খাস জমিতে বসতি গড়ে তোলা মানুষদের পাট্টা তৈরির কাজ ।
কাজ শুরু দেউচা পাচামিতে
দেউচা-পাচামি হরিণসিংহ দেওয়ানগঞ্জ কয়লাখনি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি । প্রায় 3400 একর জমি জুড়ে 20টি গ্রাম রয়েছে ৷ যাতে 21 হাজার মানুষের বাস । অধিকাংশই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ । এছাড়া, রয়েছে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল, জলাভূমি, চারণভূমি । তাই কয়লাখনির জন্য জমি দিতে প্রথম থেকেই নারাজ অধিকাংশ বাসিন্দা, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আন্দোলন করে চলেছেন ৷ তবে জমি অধিগ্রহণ করার বিষয়ে আর্থিক প্যাকেজের পাশাপাশি সরকারি চাকরির কথা আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । শুধু কয়লা নয়, ব্যাসল্ট শিলার স্তরও রয়েছে এখানে । সেই সম্পদও সব বিচারেই বিপুল ৷
আরও পড়ুন:- আঙুর শুধু জলে ধুলেই হয় না, ৩ উপায়ে পরিষ্কার না করলে মারণ রোগের বাসা বাঁধবে
আরও পড়ুন:- রেখা গুপ্তা কে? কেন তাঁকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করল BJP?