Bangla News Dunia, Pallab : মুর্শিদাবাদে হিংসায় (Murshidabad Unrest) মৃত হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসের বাড়িতে গেলেন বাম নেতৃত্ব। সোমবার দুপুরে সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদ এলাকায় যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim) ও বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। তাঁরা মৃত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন জামির মোল্লা, ধ্রুবজ্যোতি সাহা এবং অন্যান্য পার্টি নেতৃত্ব। নিহতরা তাদের পার্টি কর্মী বলে জানিয়েছে সিপিএম। এদিন তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার বার্তা দেন সেলিম-মীনাক্ষীরা।
আরও পড়ুন : স্কুলের মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি কেন্দ্রের, মাথাপিছু কত বাড়ছে ? দেখে নিন
এর পাশাপাশি সেখানের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন সেলিম, মীনাক্ষী সহ বাম নেতারা। অভিযোগ, তখনই এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায় অভিযোগ। এতে আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয়রা পুলিশ আধিকারিকদের দারস্থ হন। এরই মাঝে যদিও এলাকায় আরও পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত হন।
অন্যদিকে, এদিন মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকায় অশান্তি বাধে। ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একাংশ। কান্দি মহকুমার বড়ঞা থানার কুলি চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, শেষ ৩৬ ঘণ্টায় কোনও অশান্তি হয়নি মুর্শিদাবাদে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। হিংসার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে এরই মধ্যে ফের উত্তেজনা ছড়াল সামশেরগঞ্জে।
আরও পড়ুন : এই ৫ সস্তার খাবার ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার, শরীরকে রোগমুক্ত রাখে