Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলার বর, বাংলাদেশের কনে। ধুমধাম করে বিয়ে হল দু’দেশের প্রেমিক-প্রেমিকার। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, প্রেমের সম্পর্কে তার কোনও আঁচই পড়েনি। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানা এলাকার বাসিন্দা অনির্বাণ মহাপাত্র ঢাকা শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজে পড়তে যান ২০১৬ সালে। তারপর ২০১৮ থেকে ওখানকার সহপাঠী মাগুরা জেলার সঞ্চিতা ঘোষের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। সেই সম্পর্কের খাতিরে যুবক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তাই এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের মাগুরাতে গিয়ে বিয়ে করে সহপাঠী সঞ্চিতাকে বিয়ে করে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে টোপর মাথায় দিয়ে নব দম্পতি ভারতে প্রবেশ করলেন।
বিয়ে করে ভারতে প্রবেশ খুশি নববধূ। কিন্তু এই অস্থিরতার জন্য পরিবারের অন্য সদস্যরা আসতে না পারায় সঞ্চিতার মন খানিকটা ভারাক্রান্ত। তবে আগামী দিনে সমস্ত সমস্যা মিটে গিয়ে দুই বাংলার মেলবন্ধন আগের মতোই বজায় থাকুক এই চাহিদা রয়েছে নব দম্পতির। নব দম্পতিকে স্বাগত জানাতে এপারে অপেক্ষা করছিল সুসজ্জিত গাড়ি। তবে ভিসার জটিলতার কারণে পরিবারের কেউ আসতে পারেননি আক্ষেপ তরুণীর।
আরও পড়ুন:- কমার্স নিয়ে পড়লে আপনার জন্য রইল ৫ দুর্দান্ত কেরিয়ার অপশন,
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় মেদিনীপুর এগরার যুবক অনির্বাণ মহাপাত্রের সঙ্গে আলাপ হয় সঞ্চিতা ঘোষের। সেই আলাপ ধীরে ধীরে ভালবাসার রূপ নেয়। এসবের মধ্যেই এমবিবিএস শেষ করে ভারতে ফিরে আসেন অনির্বাণ। বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হাউস স্টাফ তিনি। বৃহস্পতিবার তরুণীর বাংলাদেশের বাড়ি মাগুরাতে হিন্দু রীতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সঞ্চিতা ও অনির্বাণ।
এ প্রসঙ্গে সঞ্চিতা বলেন, “আমরা চাই সকলেই শান্তিতে থাকুক, সাম্প্রতিক জটিলতার কারণে ভিসা পাননি সে কারণে পরিবারের সদস্যেরা আসতে পারেনি আমাকে একা আসতে হয়েছে।” বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাঁদের এই ভালোবাসার নিদর্শন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন:- কৃষক বন্ধুদের ডিজিটাল কৃষক আইডি কার্ড চালু হলো। কার্ড করলেই পাবেন ৬০০০ টাকা। কিভাবে আবেদন করবেন?
আরও পড়ুন:- নয়া করোনাভাইরাসের হদিশ, কতটা বিপজ্জনক? জানতে বিস্তারিত দেখুন