‘যত নষ্টের গোড়া মদ’, শিষ্য কেজরির পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করলেন গুরু আন্না, বিস্তারিত জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- তাঁর হাত ধরেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম সোচ্চার হওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই শিষ্যের পরাজয়ের নেপথ্যে তাঁর আবগারি পলিসিকেই দায়ী করলেন আন্না হাজারে। কেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে অসতুষ্ট ছিলেন, কেন তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছিলেন, সবটাই জানালেন তিনি।

শনিবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর BJP-র সদর দপ্তরে বিজয় ভাষণে নরেন্দ্র মোদীর মুখেও উঠে আসে আন্না হাজারের নাম। মোদী বলেন, ‘রাজনীতিতে আসার সময়ে এই আপদরা বলেছিলেন রাজনীতির ভোল পাল্টে দেবেন। কিন্তু এরা পুরোপুরি বেইমান প্রমাণিত হয়েছেন। আজ আমি আন্না হাজারেজির কথা শুনছিলাম। দীর্ঘদিন ধরেই আন্না হাজারেজি এই আপদদের কুকর্মের কারণে কষ্ট পাচ্ছিলেন। আজ উনিও হয়তো ওই কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছেন।’

এর জবাবে আন্না হাজারে বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না। ওদের যা মনে হয়েছে, ওঁরা বলেছে। আমি যা দেখতে পেয়েছি, তা বলছি। প্রথম প্রথম আমি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে মোটেও অখুশি ছিলাম না। তবে যখন দেখলাম ও ভুল পথ বেছে নিয়েছে। ক্ষমতায় এসেছে এবং ওঁর মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। তখন বুঝলাম ও আবগারি পলিসি, মদের দোকান নিয়েই মনোনিবেশ করেছে। মদেই ফোকাস করছেন বুঝতে পেরে ওঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। দূরত্ব তৈরি হলো।’ তাঁর সংযোজন, ‘মদ যত নষ্টের গোড়া। প্রথম দিন থেকেই আমি দিল্লিতে মদ নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিলাম। এই মদের জন্য কত মহিলাকে চরম কষ্ট সহ্য করতে হয়।’

২০১১ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন আন্না হাজারে। সেই সময়ে আন্নার আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই আন্দোলনের হাত ধরেই খ্যাতির শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। ২০১২ সালে নিজের রাজনৈতিক দলও গঠন করেন। পরে নিজের দল আম আদমি পার্টি নিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রবেশ করেন। সেই থেকেই গুরু আন্না হাজারের সঙ্গে মতান্তর তৈরি হয় তাঁর।

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ মোট চার বড় নেতা গ্রেপ্তার হন। সে সময়েও আন্না বলেছিলেন, তিনি বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও শিষ্য কেজরি তাঁর কথা শোনেননি।

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে আন্নার বক্তব্য, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে প্রার্থীর চরিত্র, ভাবনা শুদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। প্রার্থীর জীবন হতে হবে নিষ্কলঙ্ক। তাঁর মধ্যে ত্যাগ থাকতে হবে, অপমান হজম করার শক্তি থাকতে হবে। তবেই ভোটারদের বিশ্বাস অটুট থাকে যে ইনি আমাদের জন্য কাজ করবেন। বার বার এ কথা বলেছি। কিন্তু ওঁর (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) মাথায় ঢোকেনি। মদের দোকান এল। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলতে ভেসে গেল। মদের জন্য বদনাম হয়ে গেল।’

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন