Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ট্রেন চালকদের শারিরীক এবং মানসিক স্বস্তি দিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল পূর্ব রেলের শিয়ালদা বিভাগ। শিয়ালদা দেশের অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন ৷ দিনে দিনে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই 9 থেকে 12 বগির ট্রেনও আনা হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বও ৷ যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব মূলত ট্রেন চালক বা লোকো পাইলটদের উপর। চাপ বেড়েছে তাঁদেরও। এমতাবস্থায় তাঁদের কিছুটা স্বস্তি এবং স্বাচ্ছন্দ্য দিতে এবার একাধিক পদক্ষেপ করল রেল কর্তৃপক্ষ ৷
রেলের তথ্য অনুযায়ী, শিয়ালদা শাখায় বর্তমানে 1352 জন লোকো পাইলট রয়েছেন ৷ মহিলা চালক 48 জন । ট্রেন চালানোর আগে ও পরে যাতে তাঁরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান তাই একাধিক ‘রানিং রুম’ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন শাখা মিলিয়ে 15টি ‘রানিং রুম’ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিয়ালদা, কলকাতা, নামখানা, লক্ষীকান্তপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, দমদম, বনগাঁ, হাসনাবাদ, কৃষ্ণপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, শান্তিপুর, গেদে এবং নৈহাটিতে এই রানিং রুমগুলি করা হয়েছে বলে খবর। এই প্রচণ্ড গরমে যাতে তাঁরা আরামদায়ক আবহে বিশ্রাম নিতে পারেন সেই জন্য এই 15টি ‘রানিং রুম’-ই সম্পূর্ণভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
এছাড়াও এখানে তাঁদের জন্য পুষ্টিকর খাবার থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয়ের ব্যবস্থা থাকছে ৷ পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এবং মনোরঞ্জনের জন্য একাধিক ব্যবস্থাও রাখা রয়েছে। এছাড়াও তাঁরা যাতে মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকেন তাই মেডিটেশন এবং রিলাক্সেশন জোন রাখা হয়েছে ৷ রয়েছে শৌচালয়। পাশাপাশি ট্রেনের পরিচালন ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখতে সুপরিকল্পিতভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নেওয়া হচ্ছে। নতুন যে থ্রি-ফেজ ট্রেনগুলো পরিষেবা দিচ্ছে সেগুলিতে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ইঞ্জিন। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় দৃশ্যমানতা বৃদ্ধির জন্য ‘ফগ সিগনাল ডিভাইস’। প্রত্যেক লোকো পাইলটকে দেওয়া হচ্ছে সিগনাল লোকেশন বুকলেট। জরুরি কারণে ব্রেক প্রয়োগের জন্য অনুশীলন শিবিরের আয়োজন হচ্ছে নিয়মিত। মহিলা চালকদের জন্য আলাদা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশ্বাম কক্ষের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্ষের পাশেই থাকছে শৌচালয়ও।
এই প্রসঙ্গে শিয়ালদা ডিভিশনের ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা বলেন, “আমাদের ডিভিশন লোকো পাইলটদের ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। উন্নত পরিকাঠামো, আধুনিক প্রযুক্তি, মানবিক কল্যাণনীতি ও নিরাপত্তা সংস্কৃতির সমন্বয়ে, আমরা নিরাপদ ও দক্ষ রেল পরিষেবা নিশ্চিত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন:- সম্পূর্ণ বন্ধ বাণিজ্য! কত কোটির ক্ষতির মুখে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ? জেনে নিন