রাজ্যে আবারও প্রাইমারি টেট ! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দিচ্ছে নতুন শিক্ষক নিয়োগের ইঙ্গিত

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দুই বছরের বেশি সময় পর ফের টেট (TET) পরীক্ষার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি ই-টেন্ডার জারি করা হয়েছে, যা মূলত বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বেসরকারি সংস্থা নিয়োগের উদ্দেশ্যে আহ্বান করা হয়েছে। এই ই-টেন্ডারের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে টেটসহ একাধিক নিয়োগ ও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে।

আরও পড়ুন : যৌন অক্ষমতার সমস্যায় সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !

ই-টেন্ডার কেন?

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও নির্ভরযোগ্য পরিবেশ বজায় রাখতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সাধারণত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর ফ্রিস্কিং (দেহ তল্লাশি), বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ, এবং CCTV পর্যবেক্ষণসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নিয়ে থাকে।

সাম্প্রতিক ই-টেন্ডারেও সেই ধাঁচেই একাধিক নিরাপত্তা পরিষেবা চাওয়া হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশপথে দেহ তল্লাশি
  • পরিচয়পত্র যাচাই
  • বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ
  • পরীক্ষার সময় নিয়মবিধি মনিটরিং

এসবই ইঙ্গিত করছে, খুব শীঘ্রই টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

স্পেশ্যাল এডুকেটর নিয়োগ: মূল ফোকাস

তবে এবারের টেট শুধুমাত্র সাধারণ প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য নয়, বরং মূলত স্পেশ্যাল এডুকেটর নিয়োগের উদ্দেশ্যে পরীক্ষাটি নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে:

  • রাজ্যে প্রায় ৩,০০০টি স্পেশ্যাল এডুকেটরের পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে।
  • এই পদ পূরণের জন্য প্রার্থীদের TET উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক।
  • আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
  • তবে OBC সংরক্ষণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।

পর্ষদ সভাপতি ড. গৌতম পাল নিশ্চিত করেছেন যে, বিশেষ প্রয়োজন সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের সহায়তার জন্য স্পেশ্যাল এডুকেটর নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি এবং এজন্যই TET-এর আয়োজন হতে চলেছে।

D.EL.Ed পরীক্ষার নিরাপত্তাও দায়িত্বরত

আগামী আগস্ট মাসে ডিএলএড (D.El.Ed) পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই পরীক্ষার জন্যও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়ভার রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপর।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলাতে পরীক্ষা কেন্দ্র চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন