কলকাতা : সোমবার রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণ- সর্বত্র এক পরিস্থিতি। বহু বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে জল। রেললাইনে জল জমে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা। উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মঙ্গলবারও দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। ফের ভারী বৃষ্টি হলে পুজোর আগে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এদিকে, দুর্যোগের জেরে কলকাতায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলছে।
সোমবার রাত থেকে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝরাতের পর শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা একটানা প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন নীচু এলাকায় জল জমতে শুরু করে। তবে সকালের দিকে বৃষ্টির তীব্রতা কমেছে। কলকাতা পুরনিগমের তরফে ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা শুরু করা হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘পুরকর্মীরা কাজ করছেন। যা পরিস্থিতি তাতে প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় লাগবে।’
নেতাজিনগর বাসস্ট্যান্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রশান্ত কুন্ডুর। বাসস্ট্যান্ডের কাছে ফলের দোকান রয়েছে তাঁর। অন্যদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও দোকান খুলতে সাইকেলে চেপে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান তিনি। একটি বাতিস্তম্ভের গায়ে সাইকেলটি হেলান দিয়ে রাখতে যান। সেই সময়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিন ভোর ৫টা নাগাদ একবালপুর থানা এলাকার হোসেন শা রোডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় জীতেন্দ্র সিং (৬০) নামে এক বৃদ্ধের। তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া বেনিয়াপুকুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। গড়িয়াহাট এবং গড়ফার জলমগ্ন এলাকা থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে কী কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।