Bangla News Dunia, Pallab : সম্প্রতি এক রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় রোজকার মেলা।কিন্তু দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সাধারণত, এমন ইভেন্টে বহু বেকার যুবক-যুবতী কাজের সন্ধানে আসেন এবং তাদের সামনে কোনও অফার আসা মাত্রই তা গ্রহণ করে নেন। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। ১০,০০০ থেকে ২১,০০০ টাকা মাসিক বেতনের চাকরির অফার পেয়েও বহু আবেদনকারী তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরও পড়ুন : ৮ আগস্টের পর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে ! চালু রাখতে এই কাজ করুন
এই চাকরি প্রত্যাখ্যানের পেছনে ছিল বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তার চিন্তা করে। মেলার আয়োজকদের মতে, উপস্থিত বেশিরভাগ কোম্পানি গুজরাট ও আরও কিছু দূরবর্তী রাজ্যে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে চাকরিপ্রার্থীরা সেই অফারে আগ্রহ দেখাননি। তাঁদের যুক্তি ছিল, এত কম বেতনে হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়ে থাকা-খাওয়া চালিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। বাড়ি থেকে এতটা দূরে গিয়ে শুধুমাত্র ১৫-১৭ হাজার টাকায় টিকে থাকা কার্যত অসম্ভব।
উত্তর প্রদেশের এই চাকরি মেলার এমন ছবি প্রমাণ করে দেশের যুব সমাজ এখন আর অন্ধভাবে কোনও চাকরি গ্রহণ করছে না। বরং তারা এখন চাকরি বেছে নিচ্ছে বিবেচনা করে— কাজের স্থান, বেতন, ভবিষ্যত সুরক্ষা ও জীবনযাত্রার মান। বিশেষ করে যাঁরা বিগত কয়েক বছর ধরে কর্মহীন, তাঁদের কাছে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে শুধুমাত্র “চাকরি পাওয়া মানেই সাফল্য”— এই পুরনো ধারণা এখন আর বাস্তবসম্মত নয়।
এখান থেকে একজন প্রার্থী বিজয় পাল, যিনি বদায়ুঁ থেকে এসেছেন, জানান যে তাঁকে একটি কোম্পানি ১৫ হাজার টাকার চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু তাতে তিনি সম্মতি দেননি। তাঁর বক্তব্য, এই বেতনে জীবিকা নির্বাহ অসম্ভব, বিশেষ করে যদি কাজ করতে হয় অন্য রাজ্যে গিয়ে। অন্যদিকে, লখনউয়ের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে আসা একজন প্রার্থী তেজ নারায়ণ শর্মা বলেন, তাঁকে ১৭ হাজার টাকার অফার দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন।
এই রোজগার মেলায় অংশ নেওয়া বেশ কিছু প্রার্থী বলেন, যদি একই চাকরি তাঁদের নিজ রাজ্যে বা নিকটবর্তী এলাকায় হতো, তাহলে তাঁরা অফার গ্রহণ করতেন। অনেকের মতে, বহির্বিশ্বের চাকরি অফার করার আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর উচিত স্থানীয় জীবনযাত্রার খরচ, ভাড়াবাড়ি, খাবার, যাতায়াতের খরচ ইত্যাদি বিবেচনা করে স্যালারি নির্ধারণ করা। না হলে এমন চাকরি প্রস্তাব ‘নামের জন্য চাকরি’ হয়ে দাঁড়ায়, বাস্তবে লাভ হয় না।
আরও পড়ুন : হার্টের সমস্যার ক্ষেত্রে সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !