Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : গায়ের জোরে তিব্বত দখল করলেও তিব্বতি জনতার মন জয় করতে পারেনি চিন। স্বাধীনতার দাবিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের গায়ে আগুন দেওয়ার ছবি গায়ে কাঁটা দেয়। তাই বিদ্রোহের আশঙ্কায় লাসার উপর সাঁড়াশি চাপ তৈরি করে ভিক্ষুদের মঠ ছাড়া করছে চীন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তিব্বতের পার্শ্ববর্তী কুইংহাই প্রদেশের মঠ গুলি থেকে বিক্ষুদের তাড়িয়ে দিচ্ছে চিন। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, ধর্মীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে একটি নয়া আইন আনে চিন। নাবালকদের ভিক্ষু হিসেবে মঠে রাখা যাবে না। কোনও ধর্মীয় আচার আচরণে অংশ নিতে পারবে না তারা। মঠগুলিতে রীতিমতো নজরদারি চালাচ্ছে সরকারি আধিকারিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিনা আধিকারিকের মতে, “অল্প বয়সী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা আর মঠে ফিরতে পারবে না। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মতো পোশাক পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তাদের সরকারি স্কুলে পাঠানো হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।”
জানা গিয়েছে, ধর্মীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে আইনে জারি বিধি নিষেধের পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম লাগু করেছে প্রশাসন।
অন্যতম হচ্ছে তিব্বতি ভাষায় পাঠ দান করা যাবে না। প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট হুমকি দেওয়া হয়েছে, যারা এই নিয়ম মানবে না তাদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। কুইংহাই প্রদেশে তিব্বতি সংস্কৃতির অত্যন্ত শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। সেখানকার মঠ গুলি ‘স্বাধীন তিব্বত’ আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। সেগুলির উপর দলাই লামার প্রভাব রয়েছে। ফলে সেই প্রভাব খর্ব করে ভবিষ্যতে বিদ্রোহের অঙ্কুর বিনষ্ট করতেই এই পদক্ষেপ চিনের।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল