শরীরে ফোলাভাব দেখা গেলে আজই সাবধান হোন, হতে পারে এসব রোগের লক্ষণ

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শরীরে ফোলাভাব শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, যা আঘাত বা যেকোনও সংক্রমণের কারণে ঘটতে পারে । কিছুক্ষণ পরে এটি ভালো হয়ে যায়, কিন্তু যখন ফোলাভাব দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তখন এটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । একে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বলা হয় ।

ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিক বলেন, “এটি ডায়াবেটিসের মতো অনেক গুরুতর সমস্যাও তৈরি করতে পারে । অতএব, প্রদাহের লক্ষণগুলি দ্রুত শনাক্ত করা এবং এটি নিরাময় করা গুরুত্বপূর্ণ ।” জেনে নিন, শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যায় ।

শরীরে প্রদাহের লক্ষণ দেখা যায়:

পেট ফাঁপা: অন্ত্রে প্রদাহের কারণে খাবার হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে । এর ফলে পেট ফাঁপা, বদহজম, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

ক্লান্তি এবং দুর্বলতা: যদি আপনি খুব বেশি কাজ না করেই ক্লান্ত বোধ করেন বা সবসময় দুর্বল বোধ করেন, তাহলে এটি শরীরে ফোলাভাব হওয়ার লক্ষণ হতে পারে ।

জয়েন্টে ব্যথা: শরীরে প্রদাহ হলে জয়েন্টগুলি প্রভাবিত হয় । অতএব, যদি আপনি আপনার জয়েন্টগুলিতে ক্রমাগত ব্যথা বা খিঁচুনি অনুভব করেন, তাহলে এটি শরীরে প্রদাহের লক্ষণ হতে পারে ।

ওজন বৃদ্ধি: প্রদাহ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা হ্রাস করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে । এর ফলে ওজনও বাড়তে পারে । যদি আপনার ওজন কোনও কারণ ছাড়াই বৃদ্ধি পায়, তাহলে তা শরীরে ফোলাভাব হতে পারে ।

ত্বকে ফুসকুড়ি: যদি কোনও কারণ ছাড়াই ত্বকে লালচেভাব বা ফুসকুড়ি দেখা যায়, তবে এটি প্রদাহের কারণেও হতে পারে ।

ফোলা কমাতে কী করা উচিত ?

প্রদাহ-বিরোধী খাদ্য গ্রহণ করুন: শরীরের প্রদাহ কমাতে, প্রদাহ-বিরোধী খাদ্য অনুসরণ করুন । আপনার খাদ্যতালিকায় রসুন, হলুদ, টমেটো, পালং শাকের সঙ্গে জলপাই তেল, স্যামন ইত্যাদির মতো ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন ।

ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন । এটি ফোলা হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে ।

প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না: আপনার খাদ্যতালিকায় পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত করবেন না । আপনার খাদ্যতালিকায় সাদা মাখন, ট্রান্স ফ্যাট, চিনি এবং নুনের পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করুন ।

ধূমপান করবেন না: ধূমপান শরীরে প্রদাহ বাড়ায় । অতএব, ধূমপান করবেন না এবং পরোক্ষ ধূমপান থেকেও দূরে থাকুন ।

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: স্ট্রেস কর্টিসল বৃদ্ধি করে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে । অতএব, চাপ কমাতে চাপ ব্যবস্থাপনার কৌশল অবলম্বন করুন ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)

আরও পড়ুন:- কপাল খুলছে অনিল আম্বানির? লাফিয়ে বাড়ছে এই ৩ টাকার শেয়ার

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন