Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শরীরে ভিটামিন-ডি-র অভাব বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। এর অভাবের কারণে হাড় দুর্বল হয়ে পড়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস এবং মেজাজের পরিবর্তন (Vitamin-D Deficiency Symptoms) এর মতো লক্ষণ দেখা যায় । তাই, ভিটামিন-ডি-র অভাব রোধ করা গুরুত্বপূর্ণ । তবুও, বেশিরভাগ ভারতীয়ের মধ্যেই এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায় ।
তবে, সূর্যের আলো এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের সাহায্যে ভিটামিন-ডি-র ঘাটতি সহজেই দূর করা সম্ভব । জেনে নেওয়া প্রয়োজন ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে, যেগুলি খেলে আপনার ভিটামিন-ডি-র ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে ।
ভিটামিন ডি আমাদের সঠিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এটি একটি চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন যা হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা-সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করে । অতএব, শরীরে এই অপরিহার্য ভিটামিন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় । তবে, অনেক শরীরে এর অভাব দেখা দিতে শুরু করে ।
এনআইএইচ-এর গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন ডি-এর অভাব এখন একটি বড় সমস্যার কারণ হতে পারে । ভিটামিন ডি-এর অভাবের প্রধান কারণ হল, বেশিরভাগ মানুষের জন্য পরিমিত পরিমাণে সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর প্রধান উৎস ৷ খুব কম খাবারেই স্বাভাবিকভাবেই ভিটামিন ডি থাকে ৷ ফলে শিশুদের ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি- এর অভাব দেখা যায় ৷
মাছ: মাছ, বিশেষ করে স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনের মতো ফ্যাটি মাছ ভিটামিন ডি-এর একটি চমৎকার উৎস । স্যামন খাওয়া ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণে সাহায্য করতে পারে । এই মাছগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডও পাওয়া যায়, যা হৃদরোগের জন্য উপকারী ।
ডিমের কুসুম: ডিমের কুসুমে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় । একটি বড় ডিমের কুসুমে প্রায় 40-50 আইইউ ভিটামিন ডি থাকে । যদিও এই পরিমাণ কম মনে হতে পারে ৷ নিয়মিত ডিম খেলে ধীরে ধীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করা যায় । ডিম প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ।
দুগ্ধজাত দ্রব্য: গরু দুধ এবং কিছু দুগ্ধজাত দ্রব্যে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি থাকে । এছাড়াও, অনেক দেশে, দুধ ভিটামিন ডি দিয়ে সমৃদ্ধ । এক গ্লাস ফোর্টিফাইড দুধে প্রায় 100-120 আইইউ ভিটামিন ডি থাকতে পারে । দই, পনির এবং মাখনের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্যও ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস হতে পারে ।
মাশরুম: মাশরুম হল ভিটামিন ডি-এর একমাত্র উদ্ভিদ-ভিত্তিক উৎস । কিছু মাশরুম, বিশেষ করে সূর্যের আলোতে জন্মানো মাশরুমে ভিটামিন ডি2 থাকে । মাশরুম খাওয়াও প্রতিদিনের ভিটামিন ডি-এর চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করতে পারে । তাই, এটি নিরামিষাশীদের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প ।
ফোর্টিফাইড সিরিয়াল এবং জুস: অনেক সিরিয়াল, ওটস এবং ফলের রস, যেমন কমলালেবুর রস, ভিটামিন ডি দিয়ে সমৃদ্ধ । যাঁরা মাছ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য খান না তাদের জন্য এটি একটি ভালো উৎস । এক কাপ ফোর্টিফাইড কমলার রসে প্রায় 100 আইইউ ভিটামিন ডি থাকতে পারে ।
সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণের জন্য রোদে সময় কাটানোও গুরুত্বপূর্ণ । প্রতিদিন সকালের রোদে 15-20 মিনিট সময় কাটালে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পেতে পারে । যদি আপনার গুরুতর ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে সাপ্লিমেন্টও নেওয়া যেতে পারে ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)
আরও পড়ুন:- মেদ কমানোর ইনজেকশনে চোখের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা, নতুন গবেষণায় চাঞ্চল্য
আরও পড়ুন:- রাস্তায় কুকুর কামড়ালে প্রথমেই কী করতে হয়? জানা থাকলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব