সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ২৬ টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধের সিদ্ধান্তে বিক্ষোভের আঁচ জ্বলছে নেপালে (Nepal)। এনিয়ে নেপালের সেনাপ্রধানের সঙ্গে মধ্যরাতে আলোচনায় বসেন সেদেশের বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের সমস্ত দাবি শোনেন সেনা প্রধান। বুধবার ফের রাষ্ট্রপতির (president) সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেই প্রস্তুতিও চলছে। নেপালের সেনাবাহিনীর তরফে ওই আলোচনা বৈঠকে মধ্যস্থতা করা হবে জানা গিয়েছে।
এদিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির (OLI) ইস্তফার পর বর্তমানে নেপালের দায়িত্বে এখন সেনা (Army)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে তারা। নেপাল সরকারের প্রধান সচিবালয় ভবন নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। দেশে লুটপাট চালালে, ভাঙচুর করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, এমনটাই জানিয়ে নেপালের সেনাবাহিনী। বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি (Notice) জারি করে সেনার তরফে বলা হয়েছে, এদিন বিকেল ৫টার পর থেকে দেশ জুড়ে কারফিউ জারি হবে। দেশে শান্তি ফেরাতে নাগরিকদেরও সহযোগিতা চেয়েছে সেনাবাহিনী।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Tribhuvan International Airport) দখলের চেষ্টা করছে। এরপরেই বিমানবন্দরটি চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। আপাতত নেপালের সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে বিমানবন্দরটি। বর্তমানে ইন্ডিগো ও নেপাল এয়ারলাইন্স দিল্লি-কাঠমান্ডু বিমান পরিষেবা স্থগিত রেখেছে। প্রতিদিন এয়ার ইন্ডিয়ার ছয়টি বিমান ওই রুটে চলাচল করত।
পড়শি দেশের গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার জরুরী ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নেপালের বাসিন্দাদের শান্তি বজায় রাখতে আবেদন করেছেন। সেদেশে থাকা ভারতীয়দেরও নেপাল প্রশাসনের আইন অনুযায়ী চলতে বলা হয়েছ।
অপরদিকে ভারত-নেপাল সীমান্তেও যথেষ্ট কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। সীমান্তের ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করা হয়েছে। নেপালের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
ভারত-নেপাল বর্ডার উন্মুক্ত। সেখানে অবাধ যাতায়াত। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে ভারত বিরোধীরা। সে বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। তবে ভারত নেপালের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও আগ বাড়িয়ে যে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।