Bangla News Dunia, Pallab : বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তরুণ-তরুণীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। অনেক সময় তা পরিণতি পায় না। ভেঙে যায় সম্পর্ক। এই ক্ষেত্রে আদর্শগতভাবে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা যায় না। সম্প্রতি একটি মামলায় এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন : কোন রাশির জন্য কোন রঙ পরা শুভ? জেনে নিন
এক তরুণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা এনেছিলেন এক তরুণী। ওই তরুণ মামলা থেকে নিস্তার পাওয়ার আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চের বক্তব্য, আজকের যুগে নীতিবোধ ভিন্ন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে মূল্যবোধের ধারণা বদলে গিয়েছে। কোনও প্রাপ্তবয়স্ককে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকানো হয়েছে, সম্পর্ক তৈরি করা হয়েছে, বিষয়টা তা নয়। শীর্ষ আদালত এও বলেছে, সমাজের চলতি সংস্কারের জন্য বহু ক্ষেত্রে পুরুষের কাঁধে দোষ চাপানোর প্রবণতা দেখা যায়।
মামলায় অভিযোগকারিণীর পক্ষে সওয়াল করেছেন আইনজীবী মাধবী দিওয়ান। তাঁর সওয়াল, প্রেমঘটিত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে যে ধর্ষণের মামলা আনা হয়ে থাকে, এটি কিন্তু তা নয়। তাঁর মক্কেলের সঙ্গে ওই পুরুষের বিবাহ পারিবারিকভাবে ঠিক হয়। বাগদান হয়ে গিয়েছিল। হবু স্বামীকে খুশি করতে, বিয়ে যাতে না ভেঙে যায়, সেজন্য তাঁর মক্কেল শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সম্মতি দিয়েছিলেন। তাঁর আরও দাবি, ওই ব্যক্তির কাছে এটি নেহাতই শারীরিক সম্পর্ক ছিল, কিন্তু তাঁর মক্কেলের কাছে বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আদালতের বক্তব্য, তারা দু-পক্ষের কথা শুনবে। বিচারপতি সুন্দ্রেশ বলেন, ‘আমারও মেয়ে আছে। যদি সে এই অবস্থায় থাকত, তখন আমাকে বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হত।’ বিচারপতি বিন্দলও বলেছেন, ‘সম্পর্ক কোনও না কোনও কারণে ভেঙে যেতে পারে, সেই সম্ভাবনা নিয়ে আপনি এগিয়ে ছিলেন।’ ধর্ষণের মামলা নাকচ করার যে আবেদন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। পরবর্তী শুনানির তারিখ জানা যায়নি।