Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কলকাতা পুরসভার ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বেহালা পর্ণশ্রী এলাকায় গত দেড়মাস আগেই পথ কুকুর এবং বিড়ালদের জন্য একটি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করেছিলেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। হঠাৎ সেই বাড়ি থেকেই বেরতে শুরু করে পচা গন্ধ। স্থানীয় মানুষজন জিজ্ঞেস করলে কোন রকম উত্তর দিচ্ছিল না ওই আশ্রয় কেন্দ্রের লোকজন। অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দারা জোর জবরদস্তি বাড়িটিতে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখা গেল ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে কুকুর এবং বিড়ালের মৃতদেহ। বস্তাবন্দি করে রেখে দেওয়া হয়েছে প্রাণীগুলির দেহাংশ। সেগুলিতে পোকা ধরে গিয়েছিল।
সোমবার রাতে শেল্টারের কর্মচারীদের বাধা সত্ত্বেও এলাকায় মানুষজন জোরজবস্তি শেল্টারের ভিতরে ঢুকে পড়েন। তখন তাঁরা দেখতে পান যে শেল্টারের ভিতরে একাধিক মৃত কুকুর এবং বিড়ালের বাচ্চা পড়ে রয়েছে। চারিদিকে রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আরও অভিযোগ, বিভিন্ন কুকুরের বাচ্চাদের দেহাংশ কাটা। অনেক বাচ্চাগুলিকে প্লাস্টিকের মধ্যে ঢোকানো এবং তার মধ্যে পোকা ধরেছে। এই ঘটনায় বেহালার পর্ণশ্রী এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য এই সেন্টার চালানোর পিছনে কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে। যাঁরা শেল্টার চালাচ্ছিল এলাকাবাসী তাঁদেরকে ধরে মারধর করে। পর্ণশ্রী থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন চায় সেল্টারের পিছনে কী কী কাজ হতো সেটা সামনে আসুক। ইতিমধ্যে পর্ণশ্রী থানার তরফ থেকে একটি সুয়োমোটো কেস করা হয়েছে এবং গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ।
খবর পেয়ে বেশ কিছু পশুপ্রেমী সংগঠনও ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কুকুরছানা ও বিড়ালছানার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, যা প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো ছিল। পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছে এবং ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মরা কুকুরের মাংস বিভিন্ন রেস্তরাঁয় পাচারের অভিযোগ এনেছেন। সোমবার রাতে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, আর মঙ্গলবার সকালেই থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ জমা পড়েছে। শেল্টারের আড়ালে কী কী কাজ হতো? কেন কুকুরের দেহাংশ আলাদা করে রাখা ছিল? কেনই বা একটা শেল্টারের মধ্যে রক্ত পড়ে থাকবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসীরা।
আরও পড়ুন:- GST রিফর্মের আবহে নজর থাকবে এই ২৬ স্টকে, পজ়িটিভ প্রভাব পড়তে পারে এই সমস্ত স্টকে
আরও পড়ুন:- বিনামূল্যে পরিষেবা দিয়েও Google Pay এবং PhonePe কীভাবে কোটিপতি হচ্ছে? জানুন রহস্য