Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : শিব যাকে সব দেবতার মধ্যে তাঁকে দেবাদিদেব বলা হয়। শুধু মনুষ্যই নয়, বরং দেবতারা ভক্তি ভরে শিবের পুজো করেন। যেখানে কেউ থাকতে পারে না, সেখানে বাস করেন মহাদেব। শিব যার মাথায় চন্দ্রমা, গলায় সাপ, হাতে ত্রিশূল ধারণ করেন শিব। বাঘের ছালের ওপর আসন গ্রহণ করেন তিনি। শিবের এই বেশভূষার পিছনের রহস্য জানেন ? দেখুন একনজরে —–
১. শিবের মাথায় চন্দ্রের স্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি কাহিনির উল্লেখ পাওয়া যায়। কাহিনি অনুযায়ী সমুদ্র মন্থনের ফলে বিষ বের হয়, তাঁকে শিব নিজের কণ্ঠে ধারণ করে নেন। সে সময় বিষের প্রভাবে তাঁর শরীর জ্বলতে শুরু করে। শরীরের তাপমাত্রা কম করার জন্য নিজের মস্তকে চন্দ্র ধারণ করে নেন তিনি। এর ফলে তাঁর শরীরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে।
২. নিজের পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য গঙ্গাকে প্রসন্ন করেন রাজা ভগীরথ। পৃথিবীতে অবতরিত হয়ে পূর্বপুরুষদের তৃপ্ত করার আবেদন জানান গঙ্গাকে। ভাগীরথের তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে তাঁর সঙ্গে প্রস্থান করতে রাজী হন গঙ্গা। এমন পরিস্থিতিতে শিবের তপস্যা করে, তাঁকে প্রসন্ন করেন ভাগীরথ। তখন গঙ্গাকে নিজের জটায় ধারণ করে তাঁর বেগ নিয়ন্ত্রণ করেন শিব।
৩. শিবের হাতে সর্বদা ত্রিশূল দেখা দেয়। সৃষ্টির জন্মের সময় যখন শিবের উদ্ভব হয়েছিল, তখন তাঁর সঙ্গে রজ, তম ও সত্য নামক তিনটি গুণের জন্মও হয়। ত্রিশূলে এই তিনটি গুণ সমাহিত। ত্রিশূলের তিনটি অংশকে জন্ম, পালন ও মৃত্যুর সূচক মনে করা হয়।
৪. সমুদ্র মন্থনের সময় নাগরাজ বাসুকীকে দড়ির মতো ব্যবহার করা হয়। বাসুকী শিবের পরম ভক্ত। বাসুকীর ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে শিব তাঁকে নিজের গলায় ধারণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
৫. হিরণ্যকশ্যপের বধ করার পরও বিষ্ণুর নরসিংহ অবতারের রাগ শান্ত হয় না। তখন শরভ দেবতার অবতার নিয়ে যুদ্ধে তাঁকে আহত করে দেন শিব। শরীর ত্যাগ করার সময় চামড়াকে আসন হিসেবে গ্রহণের আবেদন জানান। তাই বাঘ ছালের ওপর অধিষ্ঠিত মহাদেব।
৬. সৃষ্টির সূচনায় সরস্বতী উৎপন্ন হওয়ার পর বীণার স্বরে সৃষ্টিতে ধ্বনির জন্ম দেন। নৃত্যরত শিব ১৪ বার ডমরু বাজান। এই ধ্বনি দিয়ে ব্যাকরণ ও সঙ্গীতের ধন্দ, তালের জন্ম হয়। এই ভাবে শিবের ডমরুর উৎপত্তি হয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল
