শ্বেতী রোগে জর্জরিত ? স্থায়ী সমাধান হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Homeopathy

Bangla News Dunia, Pallab : শ্বেতী (Vitiligo) একটি চর্মরোগ যেখানে ত্বকের নির্দিষ্ট অংশে মেলানিন নামক রঞ্জকের উৎপাদন কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়, ফলে সেই অংশগুলো সাদা হয়ে যায়। এটি সংক্রামক নয় এবং কারো সংস্পর্শে আসলে ছড়ায় না। শ্বেতী শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে, বিশেষ করে মুখ, হাত, পা, ঠোঁট, চোখের চারপাশ, যৌনাঙ্গ, নাভি, এবং বগলে বেশি দেখা যায়।

🍒 #কে_এই_রোগে_আক্রান্ত_হতে_পারে?

শ্বেতী রোগ যে কোনো বয়সের, লিঙ্গের বা জাতিগোষ্ঠীর ব্যক্তিকে আক্রান্ত করতে পারে। তবে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি:

1. যাদের পরিবারের মধ্যে শ্বেতী রোগের ইতিহাস আছে।

2. যাদের অটোইমিউন রোগ আছে, যেমন টাইপ-১ ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি।

3. মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় থাকা ব্যক্তিরা।

4. দীর্ঘ সময় রোদে থাকা বা রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিরা।

5. যাদের শরীরে পিগমেন্ট তৈরি কম হয় বা মেলানিন কম থাকে।

আরও পড়ুন : ভোটার কার্ডে Adhaar লিংক সবাইকে আবার করতে হবে ! জানুন কবে থেকে

🍒 #শ্বেতী_রোগের_কারন

শ্বেতী রোগ মূলত মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে হয়।

1. #অটোইমিউন_সমস্যা:

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মেলানিন উৎপাদনকারী কোষগুলিকে আক্রমণ করে।

2. #জেনেটিক_কারণ:

পরিবারে কারো শ্বেতী থাকলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

3. #মানসিক_চাপ_ও_উদ্বেগ:

অতিরিক্ত মানসিক চাপ শ্বেতী রোগের প্রবণতা বাড়াতে পারে।

4. #হরমোনের_পরিবর্তন:

থাইরয়েড সমস্যা থাকলে শ্বেতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

5. #ভিটামিন_ও_খনিজের_অভাব:

বিশেষ করে ভিটামিন বি১২, ফোলিক অ্যাসিড, কপার ও জিঙ্কের অভাব।

6. #রাসায়নিক_সংস্পর্শ:

দীর্ঘ সময় ধরে রাসায়নিক পণ্য, ডিটারজেন্ট বা রঞ্জক পদার্থের সংস্পর্শে থাকলে ত্বকের রঞ্জক কোষ নষ্ট হতে পারে।

🍒 #শ্বেতী_রোগের_হোমিওপ্যাথিক_চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথিতে শ্বেতী রোগের চিকিৎসায় কিছু কার্যকর ওষুধ ব্যবহৃত হয়।

1. Arsenicum Album (Ars):

শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়া সাদা দাগের জন্য কার্যকর।

রোগীর মধ্যে উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা থাকলে ভালো কাজ করে।

2. Arsenicum Sulphuratum Flavum (Ars Sulph Flav):

মুখ, হাত, পা এবং যৌনাঙ্গে ছড়িয়ে পড়া সাদা দাগের জন্য ভালো।

রোগী শুষ্ক ত্বক এবং চুলকানির সমস্যায় ভুগলে কার্যকর।

3. Natrum Muriaticum (Nat Mur):

সূর্যের সংস্পর্শে আসার পর শ্বেতী দাগ আরও দৃশ্যমান হলে।

মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তাপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ভালো।

4. Mica:

শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট সাদা দাগের জন্য কার্যকর।

শুষ্ক ও ফাটা ত্বক থাকলে ভালো কাজ করে।

5. Phosphorus (Phos):

পাতলা ত্বকের রোগীদের জন্য ভালো।

দ্রুত ছড়িয়ে পড়া শ্বেতী দাগের ক্ষেত্রে কার্যকর।

6. Sepia:

মহিলাদের হরমোনজনিত কারণে হওয়া শ্বেতীর জন্য ভালো।

গর্ভাবস্থার পর বা মেনোপজের সময় শ্বেতী হলে কার্যকর।

7. Silicea (Sil):

দীর্ঘস্থায়ী শ্বেতীর চিকিৎসায় কার্যকর।

শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি থাকলে ভালো কাজ করে।

8. Sulphur:

ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও সাদা দাগ থাকলে কার্যকর।

সংক্রমণের কারণে হওয়া শ্বেতীর চিকিৎসায় ভালো।

9. Thuja:

ভাইরাল সংক্রমণ বা টিকা নেওয়ার পরে হওয়া শ্বেতীর জন্য কার্যকর।

আরও পড়ুন : চলতি মাসে চারদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ ! জানুন কোন কোন দিন গুলি ?

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন