Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- যদি আপনার সন্তান ক্লাসে ভাল ফল করতে না পারে ও আপনি চান তার মাথা আরও তীক্ষ্ণ হোক। তাহলে সন্তানের মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ানোর জন্য আখরোট এবং বাদাম খাওয়ানো ছাড়াও সকালে এই ছয়টি কাজ করতে বলুন। দেখুন কয়েক দিনের মধ্যে সন্তানের মস্তিষ্কের শক্তি কতটা বিকশিত হয়। এর ফলে, আপনার সন্তান ক্লাসে ভাল পারফর্ম করতে শুরু করবে।
তীক্ষ্ণ বুদ্ধির জন্য সুষম খাদ্য অপরিহার্য
শিশুদের মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করার জন্য ভাল ফ্যাট সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য প্রয়োজন। বাদাম এবং আখরোট মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি করে। শিশুদের খাদ্যতালিকায় হলুদ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে কারকিউমিন থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে শক্তিশালী করে। ব্লুবেরি, ডার্ক চকলেট, ডিম, গ্রিন টি, ফ্যাটি মাছ মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে তোলে। বই পড়া, ডিজিটাল ডিটক্স শিশুদের মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ এবং দ্রুত করে তোলে।
আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের জন্য সেরা বেসরকারি স্কলারশিপ ২০২৫। দেখে নিন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই ৬টি কাজ করান
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চুপচাপ বসতে হবে। চোখ বন্ধ করে নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ডের জন্য গভীর শ্বাস নিতে হবে। ৪ সেকেন্ডের জন্য বাস ধরে রাখতে হবে। ৬ সেকেন্ডের জন্য মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুতে হবে। এটি মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এটি মানসিক চাপ কমায় এবং একাগ্রতা বাড়ায়।
চোখের ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের শক্তিও বৃদ্ধি পায়। সন্তানের মাথা না ঘুরিয়ে চোখ বাম থেকে ডানে এবং উপরে থেকে নীচে সরান। বৃত্তাকার গতিতে চোখ নাড়ানোর অভ্যাস করান। এটি চোখের পেশী শক্তিশালী করে। এটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা স্ক্রিনের ক্লান্তি কমিয়ে ভিজ্যুয়াল মেমোরি উন্নত করে।
সন্তানের স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করার জন্য কিছু কঠিন শব্দ লিখতে বলুন। ১ মিনিট পর সেগুলি মনে করানোর চেষ্টা করুন। এটি স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিশক্তি এবং প্রতিক্রিয়ার সময় উন্নত করে। বিশেষ করে শিশুদের প্রতিদিন ২ থেকে ৫ মিনিট এই অনুশীলনটি করা উচিত।
মাইন্ডফুল মেডিটেশন কেবল মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে না বরং চাপ এবং উদ্বেগও কমায়। এটি করার জন্য সন্তানকে শান্ত জায়গায় বসান। চোখ বন্ধ করতে বলুন। এবার মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়ানোর চেষ্টা করান।
সকালে ৪ থেকে ৫ মিনিট সময় বের করে একটি বই, সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিন পড়ুতে দিন সন্তানকে। এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং চিন্তাশক্তিকেও তীক্ষ্ণ করে।
প্রতিদিন সকালে ৫ মিনিট সময় বের করে সন্তানকে বাগানে খালি পায়ে হাঁটতে বলুন। স্ট্রেচিং করান। শরীরের নড়াচড়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এটি মানসিক এবং শারীরিক একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:- ‘স্তনে হাত দেওয়া…’, ধর্ষণের চেষ্টা নয়, এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট কি বললো, জানুন
আরও পড়ুন:- এই ডিভিশনে বাতিল ও রুট পরিবর্তন একাধিক ট্রেনের, দেখে নিন তালিকা