Bangla News Dunia, Pallab : সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন চাকরিহারারা। নির্দিষ্টভাবে শনাক্ত না হওয়া শিক্ষকদের কাজে ফেরার সুযোগ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে সাময়িক স্বস্তি মিললেও হাসি ফেরেনি চাকরিহারাদের মুখে।
আরও পড়ুন : স্মার্টফোনের এই ৭ টিপস না জানলে বিপদ, কমতে পারে ডিভাইসের জীবন
চাকরিহারা শিক্ষকদের বক্তব্য, এই রায় আপাতত স্বস্তি মিললেও তাঁদের চাকরিতে সম্মানের সঙ্গে পুনর্বহালের জন্য লড়াই চালু থাকবে। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, যে ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের সকলের ওএমআর শিটের স্ক্যান কপি প্রকাশ করলেই জানা যাবে, কারা ‘যোগ্য’ আর কারা ‘অযোগ্য’। নতুন নিয়োগের জন্য যে পরীক্ষা হওয়ার কথা জানানো হয়েছে, সেই পরীক্ষায় বসতে রাজি নন চাকরিহারাদের একাংশ। আগামীতে তাঁরা রিভিউ পিটিশনে যাবেন বলেও জানান। তাঁদের বক্তব্য, ‘প্রশাসনের দায় আমরা কেন নেব?’ চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, ‘আমরা এই রায়ে খুশি নয়। এটা সরকারের আবেদন যাতে পঠনপাঠন চালু থাকে। সেই জন্যে আমরা স্কুলে যাই। কিন্তু পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটাও বলা হয়েছে। ফলত, এটা সাময়িক একটা প্রক্রিয়া। বেতন চলবে। আমাদের সসম্মানে ফিরতে গেলে রিভিউতেই ফিরতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির ২০১৬ সালের (SSC 2016) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্টে। এই রায়ে চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এরপর বিষয়টি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছিল। পর্ষদ আদালতে জানায়, এই রায়ে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে। কারণ অনেক স্কুলে পড়ানোর মতো শিক্ষক থাকবেন না। সেকারণে যাঁরা ‘দাগি’ হিসাবে চিহ্নিত, তাঁরা ছাড়া বাকিদের চাকরি আপাতত রাখা হোক। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্দিষ্টভাবে শনাক্ত না হওয়া শিক্ষকরা কাজে যোগ দিতে পারবেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বলেছেন, ‘আমরা পড়ুয়াদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’ সেকারণেই এই নির্দেশ। সুপ্রিম কোর্ট একইসঙ্গে এও জানিয়েছে, নতুন করে নিয়োগের জন্য ৩১ মে’র মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।