Bangla News Dunia, Pallab : গৃহঋণ, ব্যক্তিগত ঋণের পাশাপাশি আরও একটি ঋণ (Loan) রয়েছে, যা দিয়ে রাজস্ব আদায় হয়। তা হল কৃষি ঋণ। সরকার পুরোপুরি নিশ্চিত যে এই বছর রাজ্যে কৃষিঋনের (Agriculture Loan) অঙ্ক ১ লক্ষ কোটি টাকা পেরিয়ে যাবে।
সম্প্রতি নাবার্ডের একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যে কৃষি দপ্তরের সচিব ওঙ্কার সিংহ মিনা এই প্রসঙ্গে বলেন যে ২০২৪-২৫ অর্ধ বর্ষে ঋণ হয়েছিলো ৭৫ হাজার কোটি।
আরও পড়ুন : সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে ব্রেকফাস্টে রাখুন এই খাদ্য তালিকা
এই অর্থ বর্ষে তা ১ লক্ষ কোটি ছুঁয়ে যাবে বলে যে সম্ভাবনা করা হচ্ছে সেই লক্ষ্য পূরণে কোন সমস্যা হবে না (Best Kisan Credit Card)।
নাবার্ডের চিফ জেনারেল ম্যানেজার পি কে ভরদ্বাজ পরের বছর ১.২৭ লক্ষ কোটি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাবার্ডের পরিকল্পনার রিপোর্ট বলছে আগামী অর্থবর্ষ থেকে সরাসরি কৃষিক্ষেত্রে ১.০৭ লক্ষ কোটি কৃষি পরিকাঠামো ও অন্যান্য ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে ছোট শিল্পের জন্য ২ লক্ষ কোটি ও বাড়ি শিক্ষা সহ অন্যান্য খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে বলে স্থির করা হয়েছে।
ঋণ সংক্রান্ত এই পরিকল্পনা সফল করবার জন্য স্টেট লেভেল ব্যাঙ্ক কমিটির সব সদস্যকে আরও সক্রিয় হওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন : জন্ম সার্টিফিকেট অনলাইন আবেদন, চেক ও অনলাইন ডাউনলোড – সম্পূর্ণ পদ্ধতি দেখুন ?
মিনা বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু তৈলবীজ ও ডাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এই দুই ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজবার জন্য নাবার্ডের সঙ্গে কথা বলা ও ঋণের অঙ্ক বৃদ্ধির মত পদক্ষেপ জরুরি।
কৃষি ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণে ঋণের প্রয়োজন হয় যেমন ভালো বীজ উৎপাদন করতে বা দীর্ঘদিন ফসল মজুদের সময়। তবে কৃষি সংক্রান্ত এই ঋণের ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাঙ্ক ব্যর্থ হয়েছে লক্ষ্য পূরণে এ কথাও তিনি বলেছেন।
উল্লেখ্য সভাতে উপস্থিত রাজ্যের অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্রের কথা অনুযায়ী,“রাজ্যে মোট দুধ উৎপাদন বাড়লেও, পশ্চিমের জেলাগুলিতে পরিকল্পনা ও অর্থের অভাবে বাজার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নাবার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এ ক্ষেত্রে কাজ করার ভাবনা রয়েছে রাজ্যের।’”
সরকার ঋণের ছাড় দিবে:-
যদি কোন কৃষক ঋণ নিয়ে ফসলের চাষ করে থাকে অনেক সময় বিভিন্ন কারনে ফসল ভালো না হলে বা ফসলের ক্ষতি হলে সরকার সেই কৃষকদের ঋণ ছাড় করে দেয় বা কিছু শতাংশ মুকুব করে দেয় ।
আরো পড়ুন : বৃদ্ধ বয়সে ভালো থাকার উপায় !