সুনীতারা পৃথিবীতে ফেরার পথে স্পেস স্টেশন থেকে কীভাবে বিচ্ছিন্ন হলেন? দেখুন ভিডিও

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিলেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর(#SunitaReturns)। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে ইতিমধ্যেই তাঁদের বহনকারী ড্রাগন মহাকাশযান ডিট্যাচ হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে পৃথিবীর নিকট কক্ষপথে আসবে সেই যান। তারপর প্রবেশ করবে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে। হিসাব অনুযায়ী, ১৯ মার্চ ভোররাতে ফ্লোরিডা উপকূলের সমুদ্রে নেমে আসবে সুনীতাদের যান। প্রায় ১৭ ঘণ্টার জার্নি।

দীর্ঘ ৯ মাস পর
গত বছর ৫ জুন স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনীতা ও বুচ উইলমোর। দ্রুতই ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় বোয়িংয়ের স্পেসক্রাফটে প্রযুক্তিগত ঝুঁকি ছিল। সেই কারণেই সেবার ফেরা হয়নি। এরপর নানা কারণে পিছোতে পিছোতে প্রায় ৯ মাস সুনীতা-বুচকে ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনেই থাকতে হয়েছে।

এতে অবশ্য সুনীতা উইলিয়ামস মোটেও বিরক্ত হননি। মহাকাশে তাঁর ভালই লাগে বলে জানান। তবে, সময় বেড়ে গিয়েছে মানে, তাঁদের উপর দায়িত্বও বেড়ে যায়। এই সময়পর্বে প্রায় ১৫০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালান তাঁরা।

আরও পড়ুন:- হঠাত্‍ সোনা ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে লোকে, কী ঘটবে?

dragon

কীভাবে স্পেসএক্স-এর ড্রাগন মহাকাশযান স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফেরে? 

স্পেসএক্স-এর ড্রাগন মহাকাশযান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) থেকে ফেরার সময় প্রথমে স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এরপর এটি কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে আসতে ‘ডি-অরবিট বার্ন’ শুরু করে। অর্থাৎ, থ্রাস্টারগুলি নির্দিষ্ট সময়ে ও স্থানে একটু একটু করে জ্বলে ওঠে। এর ফলে ধীরে ধীরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের দিকে এগিয়ে আসে ড্রাগন।

বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় যে কোনও বস্তুই একটি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। সেটি হল বায়ুর সঙ্গে তীব্র ঘর্ষণ। এর ফলে বিপুল পরিমাণে তাপ সৃষ্টি হয়। এই তাপ এমনই যা কোনও গ্রহাণুকেও মাঝ আকাশেই পুড়ে ছাই করে দেয়। ফলে বিষয়টি যে কতটা বিপজ্জনক, তা সহজেই অনুমেয়।

সেই কারণেই এই তাপ থেকে রক্ষার ব্যবস্থাও থাকে মহাকাশযানে। ড্রাগনের হিট শিল্ড এই তাপ শোষণ করে নেয়। এই অংশটিই যে কোনও মহাকাশযানের পৃথিবীতে ফেরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন অংশ।

মহাকাশযান বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর নির্দিষ্ট উচ্চতায় প্যারাসুট খুলে যায়। এর ফলে যানের গতি কমে আসে। সবশেষে সমুদ্রের জলে এসে যান নেমে ভাসতে থাকে। নির্দিষ্ট স্থানে আগে থেকেই উদ্ধারকারী বাহিনী জলযান নিয়ে প্রস্তুত থাকে। তারা ক্যাপসুল  নিরাপদে উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন:- ফাইন বাড়ল ট্র্যাফিকে, কোন আইন ভাঙলে কত জরিমানা? জেনে নিন

আরও পড়ুন:- টুপিতে ‘804’ নম্বর থাকার কারণে কড়া শাস্তির মুখে পাক ক্রিকেটার, জানুন এর পিছনে কারণ কি ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন