সোনার বন্ড নাকি সোনার গয়না? জেনে নিন কোনটিতে বিনিয়োগ করা বেশি লাভজনক?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সোনার গয়না কিনবেন নাকি সোনার বন্ড (Gold Bond) বিনিয়োগ করবেন? এই একটা প্রশ্ন অনেক মানুষের মনে সব সময় থাকে। আর আমাদের সমাজের প্রত্যেকটি শুভ অনুষ্ঠানের সোনার অলংকার পড়ার একটা রীতি নিয়ম রয়েছে। শুধুমাত্র শুভ অনুষ্ঠানের অলংকার পড়ার জন্যই নয়, সোনার অলংকার কেনার জন্য আলাদা একটা আগ্রহ দেখা যায়, বিশেষ করে ভারতীয়দের মধ্যে।

সোনার বন্ড নাকি সোনার গয়না কোনটায় বিনিয়োগ করবেন?

সোনা শুধুমাত্র অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়না, এটি সর্বাপেক্ষা উত্তম মাধ্যম বিনিয়োগের জন্য। বিপদে-আপদে এই সোনার অলংকার অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অনেকে বুঝে পান না, সোনার বন্ড নাকি সোনার গয়না বিনিয়োগ করলে কোনটায় বেশি লাভ হবে? আজকের এই প্রতিবেদনে এই দ্বন্দ্বের অনেকটাই সমাধান করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানতে হলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

Gold Bond Investment

সোনা বিনিয়োগ করতে হলে আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে করতে পারেন। গোল্ড বন্ড, গোল্ড ইটিএফ, সোনার গহনা বা কয়েন বা বিস্কুটের আকারে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। এক একটি বিনিয়োগের একেক রকম সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। বিনিয়োগের জন্য সার্বভৌম গোল্ড বন্ড কেনা উচিত নাকি সোনার অলংকার কেনা উচিত? সার্বভৌম গোল্ড বন্ডে সরকারি নিরাপত্তা রয়েছে। আপনি গোল্ড বন্ড কিনলে মাত্র এক গ্রাম সোনা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন।

আরও পড়ুন:- রোগা হওয়ার জনপ্রিয় ওষুধ Mounjaro (মৌনজারো) এবার ভারতে, কত দাম-কত ডোজ নিতে হবে? জেনে নিন

Sovereign Gold Bond Scheme

সার্বভৌম গোল্ড বন্ড বিনিয়োগ করলে ২.৫ শতাংশ রিটার্নের সুবিধা পাবেন। ম্যাচিউরিটির সময় বন্ড করমুক্ত হয়ে থাকে। এই বিনিয়োগে ডিফল্ট হওয়ার ঝুঁকি কম। তাছাড়া এই বিনিয়োগে ঋণের সুবিধাও পাওয়া যায়। বন্ড বিনিয়োগ করলে ৮ বছর পর ম্যাচুরিটি পাবেন অর্থাৎ ৮ বছর পর এর থেকে টাকা পাবেন। কিন্তু আপনি চাইলে পাঁচ বছর পরেও এর থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

Gold Jewellery Investment Plans

বন্ড কেনার জন্য আপনি ব্যাংক, বিএসই, এনএসই ওয়েবসাইট বা ডাকঘর যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া আপনি অনলাইন সাইট থেকেও বিনিয়োগ করতে পারেন। গোল্ড বন্ড বিনিয়োগ করার জন্য প্যান কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করার প্রধান কারণ হল এটি রিটার্ন প্রদান করে। সমীক্ষা অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে ভালো রিটার্ন পাওয়ায় ৫০ শতাংশ মানুষ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার জন্য বেশি পছন্দ করছেন।

ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের দ্বিতীয় বড় কারণ হচ্ছে, এতে চুরির ভয় নেই। নাভির সমীক্ষায় মানুষ বলেছে, ভৌত সোনা রাখার চেয়ে ডিজিটাল সোনা কম ঝুঁকিপূর্ণ। এতে কম ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে, কারণ সাইবার জালিয়াতির সময়ে এমনকি ব্যাংকে রাখা টাকাও সুরক্ষিত নয়। কিন্তু বাড়ি থেকে চুরি হওয়ার ভয় না থাকায় ৩৯ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে যে ডিজিটাল সোনা রাখা নিরাপদ।

বিনিয়োগের জন্য বন্ড সাধারণত সোনার গয়নার থেকে ভালো রিটার্ন দিতে পারে, কারণ এতে সোনার সুরক্ষা বা সংরক্ষণের ঝুকি নেই। গহনার চার্জ তৈরির সমস্যা নেই এবং কর মুক্ত, তবে সোনার অলংকারের আলাদা একটা আবেগ রয়েছে যেটি বিনিয়োগের বাইরে গিয়েও অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই জন্য আপনি বিনিয়োগের লক্ষ্য ও ঝুঁকির সম্ভাবনা অনুযায়ী আপনার পছন্দ মতন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

 

আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের তালিকা। জানুন আবেদন করলে কে কী সুবিধা পাবেন?

আরও পড়ুন:- প্রচন্ড মাথা ব্যথায় ভোগেন? কি খেলে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন, জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন