Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মেরঠ-কাণ্ডে নয়া তথ্য ৷ নিহত সৌরভ রাজপুতের সঙ্গে অভিযুক্ত মুসকান রাস্তোগির প্রেম স্কুল বয়স থেকেই ৷ এমনকী নিজের পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে মুসকানকে বিয়ে করেছিলেন সৌরভ ৷ শুধু তাই নয়, বিয়ের আগেও একাধিকবার তাঁরা পালিয়েও গিয়েছিলেন ৷ পাশাপাশি তদন্তকারীদের দাবি, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কেও জানতেন সৌরভ।
সৌরভের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সাহিল শুক্লার সঙ্গে মুসকানের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতেন সৌরভ ৷ এমনকী দাদা রাহুলকে এ বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। সৌরভকে হত্যার অভিযোগে মুসকান এবং সাহিল দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ স্বামীকে খুনের পর মুসকান তাঁর প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে সৌরভের দেহ টুকরো টুকরো করে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে হিমাচল প্রদেশে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দাদার পরামর্শে সৌরভ মুসকানের সঙ্গে বিয়ে ভাঙতে প্রস্তুত ছিলেন ৷ এমনকী বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়াও শুরু করার কথাও হয়েছিল। তবে পরিবারের দাবি, সৌরভ, মুসকানকে এতটাই ভালোবাসতেন যে শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের ইচ্ছা ত্যাগ করেন ৷ সৌরভের মা রেনুর মতে, সৌরভ এবং মুসকান বিয়ে করার জন্য তিনবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সৌরভ পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন ৷ পরিবারের সবচেয়ে ছোট হওয়ায় সকলের প্রিয়ও ছিলেন।
আরও পড়ুন:- বাড়িতে উইন্ডো এসি লাগাবেন নাকি স্প্লিট এসি? কিভাবে বুঝবেন, জানুন
13 বছর বয়সে, সৌরভের সঙ্গে মুসকানের বন্ধুত্ব হয় ৷ 2016 সালে, দু’জনের বয়স 18 বছর হওয়ার পর তাঁরা পালিয়ে যান। সে সময় পুলিশ তাঁদের খুঁজে বের করে বাড়িতে নিয়ে আসে ৷ এরপর বাড়িত অমতেও সৌরভ মুসকানকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ৷ তিন মাস পরে তাঁরা ফের নিখোঁজ হয়ে যান ৷ এরপর একেবারে বিয়ে করেই বাড়ি ফিরে আসে। পরে সৌরভ মার্চেন্ট নেভিতে চাকরি পান। সৌরভ মুসকানকে ভালোবাসেন এ কথা ভেবেই তাঁর পরিবার মুসকানকে মেনেও নেয়। ছ’মাস শ্বশুরবাড়িতে থাকার পর, মুসকান পরিবারে ঝগড়া শুরু করেন বলে অভিযোগ ৷ এমনকী পরিবারের লোকেদের জেলে পাঠানোরও হুমকি দেন।
ঝগড়া এতটাই বেড়ে যায় যে সৌরভ এরপর বাড়ি ছেড়ে মুসকানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন ৷ সেখানেই 2019 সালে মেয়ে হয় তাঁদের ৷ 2023 সালে ফের সৌরভ চাকরির জন্য বিদেশ চলে যান। সেই সময় মুসকানের সঙ্গে তাঁর স্কুলের বন্ধু সাহিল শুক্লার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলে জানা গিয়েছে ৷ তাঁর দাদার মতে, সৌরভ প্রতি মাসে মুসকানকে 50 হাজার টাকা পাঠাতেন ৷ এমনকী তার সব চাহিদাও পূরণ করতেন। সৌরভের বোন সিমরনের অভিযোগ, মুসকান মাদকাসক্ত ছিলেন ৷ সৌরভ লন্ডনে যাওয়ার পর, সিনেমায় কাজ করার আছিলায় বাড়ি থেকে গাজিয়াবাদে পালিয়ে যান মুসকান ৷
সৌরভের পরিবারের আরও অভিযোগ, খুনের সঙ্গে মুসকানের পরিবারও জড়িত। তাদের নজর ছিল সৌরভের সম্পত্তির উপর। সৌরভের টাকা দিয়েই বাড়ি তৈরি করেছিল, নতুন গাড়িও কিনেছিল। মুসকানের বোন আইফোনও কিনেছিলেন সৌরভের টাকায় ৷ জানা গিয়েছে, পুলিশ অপরাধের পুনর্নির্মাণ করবে ৷ মেরঠের এসিপি (শহর) আয়ুশ বিক্রম সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কাছ থেকে এখনও প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়নি ৷ তাই সোমবার আদালতে পেশ করে পুলিশ অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে চাইবে। তাঁর কথায়, “পুলিশ অভিযুক্তদের রিমান্ডে নেওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করবে যাতে চার্জশিট দাখিল করা যায় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তাঁদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।”
আরও পড়ুন:- ঘুমের সঙ্গে রয়েছে ক্যানসারের যোগ ! কি জানালেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন:- পথ দুর্ঘটনায় সাহায্য করতে কি এগিয়ে আসেন বাংলার মানুষ? জানুন সমীক্ষা কি বলছে