হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেল শাশুড়ি, তারপর….

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের এক মা এমন একটা কাজ করেছেন, যা কল্পনাও করা যায় না। তিনি তাঁর মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন। জানা যায়, এই ওই মহিলা নিজেরই মেয়ের হবু বরের প্রেমে পড়ে যান। যখন তাঁর মেয়ের বিয়ের তারিখ কাছাকাছি আসে, তখন হবু জামাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যম ছিল একটি স্মার্টফোন, যা হবু জামাই উপহার দিয়েছিলেন। তাঁরা দুজনেই দিনে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা বলতেন। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, মহিলা নগদ টাকা এবং গয়নাও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি আলিগড় জেলার মাদ্রাক থানা এলাকার মনোহরপুর গ্রামের। যেখানে জিতেন্দ্র কুমার নামে এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ করেছেন যে তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর মেয়ের হবু বর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল তাঁরা দুজনেই একসঙ্গে পালিয়ে গেছেন এবং বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার সোনা-রুপোর গয়নাও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন।

জিতেন্দ্র কুমার জানান যে তার মেয়ের বিয়ে ১৬ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছিল। আত্মীয়স্বজনদের নিমন্ত্রণ করা হচ্ছিল। বাড়িতে একটা বিয়ের পরিবেশ ছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন তাঁর স্ত্রী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন তিনি নিশ্চয়ই কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছেন, কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে ফিরে না আসায় খোঁজ শুরু হয়। এদিকে, আরও জানা গেল যে, যে যুবকের সঙ্গে জিতেন্দ্রর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল তিনিও হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছেন। সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। একটু তদন্ত করে মোবাইল খতিয়ে দেখতেই আসল ঘটনা সামনে আসে।  জানা যায় জিতেন্দ্রর স্ত্রী এবং মেয়ের হবু বর একসঙ্গে পালিয়েছেন।

কয়েকদিন আগে, হবু জামাই মহিলাকে একটি দামি স্মার্টফোন উপহার দিয়েছিলেন এবং সেই ফোনের মাধ্যমে তাঁরা দুজনেই দিনরাত যোগাযোগ রাখতেন। জিতেন্দ্র কুমার বলেন, আমি বেঙ্গালুরুতে কাজ করি এবং এক বা দু মাস অন্তর বাড়িতে আসি। শেষবার যখন আমি এসেছিলাম, তখন আমি দেখেছি যে আমার স্ত্রী আমার মেয়ের হবু বরের সঙ্গে অতিরিক্ত কথা বলছিল। প্রথমে, আমি বিষয়টি উপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু যখন আমি জানতে পারলাম যে ছেলেটি আমার মেয়ের সঙ্গে খুব কমই কথা বলত। তখন আমার কাছে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যায়। জিতেন্দ্র কুমারের মতে, বাড়িতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার গয়না রাখা ছিল। যা বিয়েতে ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু এখন সবকিছু শেষ। আমার মেয়ের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে, আর আমার সম্মানও নষ্ট হয়েছে।

মহিলার মেয়ে বলেছে,  ‘মা বেঁচে থাকুক বা মারা যাক, তাতে এখন কিছু যায় আসে না। মা আমার বিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। ছেলেটি আমার সঙ্গে কথাও বলত না, যখনই আমি তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করতাম, সে বলত যে সে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। পরে বুঝতে পারলাম যে সে দিনরাত মায়ের সঙ্গেই কথা বলত। মা তার নির্দেশ অনুসারে সবকিছু করত এবং আমাদের ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে চলে যেত। এখন সে বেঁচে থাকুক বা মারা যাক, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি শুধু আমাদের জিনিসপত্র ফেরত চাই।’

পুলিশ জানিয়েছে যে মামলাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং এতে প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং সম্পত্তি চুরির মতো গুরুতর দিক জড়িত। স্টেশন ইনচার্জ জানিয়েছেন যে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা মহিলা এবং যুবকের খোঁজ শুরু করেছি। মোবাইল লোকেশন এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:- মাথার সামনের চুল গজানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন