হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলা ! তুঙ্গে জল্পনা

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার প্রাথমিক নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলার (Primary Teacher Recruitment Corruption Case) শুনানি রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল। এবার ডিভিশন বেঞ্চ কী করে সেদিকেই নজর সবার। এদিন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আরো পড়ুন : কখন “টিউমার’ ক্যান্সারে পরিনত হয় ? জানুন সঠিক তথ্য

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। তার মধ্যে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। ২০২২ সালে ওই মামলাগুলি দায়ের হয়। ২০২৩ সালে ওই মামলায় হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ৪২,৫০০ জন শিক্ষকের মধ্যে চাকরিচ্যুত হন প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষক। প্রাক্তন বিচারপতির রায় ছিল, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যকে। সেখানে যোগ্য এবং উত্তীর্ণদের চাকরি বহাল থাকবে। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। একই সঙ্গে জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশমতো নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদকে শুরু করতে হবে।

হাইকোর্টের ওই দুই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং পর্ষদ। আবেদন জানান চাকরিহারাদের একাংশও। তাঁদের বক্তব্য, সিঙ্গল বেঞ্চ শুনানিতে সব পক্ষকে বলার সুযোগ দেয়নি। ওই বছর শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে সব পক্ষের বক্তব্য শুনতে নির্দেশ দেয়। এরপর আর ওই মামলার অগ্রগতি হয়নি। একাধিক বার বিচারপতির বেঞ্চ পরিবর্তন হলেও ওই মামলার শুনানি করা হয়নি। সম্প্রতি বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে’র ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারপতি সেন ব্যক্তিগত কারণ জানিয়ে ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে মামলা যায় নতুন ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন সেখানেই এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন : জানুন প্রবল গরমে সান স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় ?

আরও পড়ুন : অস্ত্রোপচার নাকি হোমিওপ্যাথি ? জানুন কোন পথে টিউমার থেকে স্থায়ী সমাধান

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন