‘হাতে চাঁদ পেলাম’ ! পরের জন্মেও মোহনবাগানি হতে চান

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : ২৯ জুলাই দিনটা মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থিত ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সারাজীবনের জন্য স্মরণীয়। কারন ১৯১১ সালে ওই দিনে ব্রিটিশদের হারিয়ে প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসেবে IFA শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। তাই ২৯ জুলাই দিনটি প্রতি বছর মোহনবাগান দিবস হিসাবে পালিত হয়।

আরো পড়ুন : কিভাবে করবেন অফলাইন ভোটার ফর্ম পূরণ ? দেখুন সহজ গাইড লাইন

এবছরও মোহনবাগান দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। সেখানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, বাইচুং ভুটিয়া (Baichung Bhutia) সহ উপস্থিত ছিলেন একাধিক মন্ত্রী। তবে সকলের উপস্থিতির মাঝে একাই সব আলো কেড়ে নিলেন স্বপন সাধন বোস। সকলে যাঁকে ময়দানে টুটু বোস (Tutu Boss) নামে চেনে।

টুটু বোস এবছর মোহনবাগান রত্ন (Mohun Bagan Ratna) পেলেন। তাঁর গলায় রত্ন সম্মানের মেডেল পরিয়ে দিলেন মোহনবাগান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট দেবাশিস দত্ত (Debashis Dutta) ও সচিব সৃঞ্জয় বোস (Srinjoy Bose)। তখন টুটুর চোখে জল। আবেগঘন হয়ে তিনি বললেন, আমি মোহনবাগান ক্লাবকে পাঁচ লাখ টাকা দিচ্ছি। এই টাকা দিয়ে আমাকে লাইফ মেম্বারের একটা পদ দিও। পরজন্মে যাতে সেই কার্ডটা নিয়ে মাঠে ঢুকতে পারি।’

গলায় ঝোলানো মোহনবাগান রত্ন দেখিয়ে টুটু আরও বলেন, ‘ছোটবেলায় স্কুলে কেউ ফার্স্ট হলে বলা হতো হাতে চাঁদ পেয়েছিস নাকি? এবার আমার মনে হচ্ছে সত্যিই যেন হাতে চাঁদ পেলাম। মোহনবাগান রত্ন আমার কাছে চাঁদের মতো। টুটু বসুকে মোহনবাগান ক্লাব থেকে মুছে ফেলা যাবে না।’

মোহনবাগান ক্লাবের ক্যান্টিনটা ৩০ লক্ষ টাকায় বানিয়ে দিয়েছিলেন টুটু বোস। তাঁর মৃত্যুর পর ক্যান্টিনের নামকরন যাতে তাঁর নামে করা হয় ক্লাবের কাছে সেই আবেদন রাখলেন তিনি।

ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) বলেন, ‘মোহনবাগানের কাছে দুটো অনুরোধ। কন্যাশ্রী কাপে পরের বার থেকে যেন মোহনবাগান খেলে। আর দুই, আইএসএল জিতলে সেই ট্রফি যেন সঙ্গে সঙ্গে ক্লাবে নিয়ে আসা হয়। এবছর অনেক দেরি হয়েছিল।’

এদিন সেরা ফুটবলার হিসেবে পুরস্কৃত হলেন জেমি ম্যাকলারেন ও আপুইয়া। বাকিদের মধ্যে দীপেন্দু বিশ্বাস (যুব ফুটবলার), অর্জুন শর্মা (হকি), অর্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায় (অ্যাথলিট), রঞ্জত সিং খাইরা (ক্রিকেটার), মিলন দত্ত (রেফারি), কমল মৈত্র (কর্মকর্তা), রিপন মণ্ডল (সমর্থক) পুরস্কৃত হন।

জাতীয় মহিলা ফুটবল টিমের পক্ষ থেকে পুরস্কার নেন রিম্পা হালদার। সেরা সাংবাদিকের সম্মান দেওয়া হয় দুই প্রয়াত সাংবাদিক অরুণ সেনগুপ্ত ও মানস চক্রবর্তীকে। এদিন নেতাজি ইন্ডোরের ফ্লোর থেকে গ্যালারি, পুরোটা কানায় কানায় ভর্তি ছিল।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন