Bangla News Dunia, Pallab : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে প্রত্যাঘাত করতে পারে ভারত। আপাতত এই আতঙ্কে থরহরি পাকিস্তান। তাই তড়িঘড়ি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিদের কাশ্মীরে প্রবেশের জন্য তৈরি লঞ্চপ্যাডগুলি খালি করা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, এই লঞ্চপ্যাডগুলি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের পাক সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও বাঙ্কারগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) পেরিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করার আগে এই লঞ্চপ্যাডগুলিকেই নিজেদের আশ্রয়স্থল বা বেসক্যাম্প হিসাবে ব্যাবহার করত। গত ২২ এপ্রিলল পহেলগাঁও হামলার পর তাদের গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার তাদের সরিয়ে নিতে তৎপর হয়েছে পাক সেনা।
আরো পড়ুন : কখন “টিউমার’ ক্যান্সারে পরিনত হয় ? জানুন সঠিক তথ্য
সম্প্রতি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ৪২টি সক্রিয় লঞ্চ প্যাডের খোঁজ পায়। বিশেষজ্ঞদের মত, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময়ে পাক সেনাঘাঁটির আড়ালে থাকা লঞ্চপ্যাডগুলোকেই টার্গেট করেছিল ভারত। পহেলগাঁও নৃশংসতার পর ভারতের ‘যুদ্ধং দেহী’ মনোভাব আঁচ করে পাকিস্তান এবার অনেকটাই সতর্ক। তাই তারা আগে থেকেই লঞ্চপ্যাডগুলোকে ফাঁকা করে দিতে চাইছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অধিকৃত কাশ্মীরের কেল, সার্ডি, দুধনিয়াল, আথমুকাম, জুরা, লিপা, পাছিবান, ফরোয়ার্ড কাহুতা, কোটলি, খুইরাত্তা, মান্ধার, নিকাইল, চামানকোট এবং জানকোট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি থেকে জঙ্গিদের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। সেনা সূত্রের খবর, অন্তত ১৫০ থেকে ২০০ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গি এই ৪২টি লঞ্চপ্যাডে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের জন্য তৈরি ছিল। এর আগে এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টেও দাবি করা হয়েছিল যে, বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম), জৈশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি)-র মোট ৬০ জন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। এছাড়াও উপত্যকায় ১৭ জন স্থানীয় জঙ্গির সক্রিয় থাকার কথা জানিয়েছিল তাঁরা।