হার্ট ‘ব্লকেজ’ কী ? কারণ কি ? জানুন সমাধান

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

heart

Bangla News Dunia, Pallab : হার্ট এর ওজন প্রায় 300 গ্রাম।

✅ হার্টের কাজঃ পুরো শরীরে ব্লাড পাম্প করা। হার্ট ১ মিনিটে প্রায় ৭২ বার পাম্প করে। হার্ট, প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ বার পাম্প করে থাকে। হার্ট একবার পাম্প করলো মানে পুরো বডিতে ব্লাড পৌঁছে গেলো।

আরও পড়ুন : Big News : জল্পনাই সত্যি, এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করল কেন্দ্র

✅ হার্ট এর অসুখ কী :- হার্ট এর অসুখ মানে আর্টারি তে চর্বি জমে যাওয়া, কোলেষ্টেরোল জমে যাওয়া, ফ্যাট জমে যাওয়া। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ধীরে ধীরে হার্ট এর ব্লাড সাপ্লাই ক্ষমতা কমে যায়। এটাকেই বলা হয় হার্টের অসুখ। বর্তমানে হার্টের অসুখ টি বিশ্বের সব চেয়ে বড় অসুখ। যেদিন হার্টের ব্লাড সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাবে সেদিন হার্ট টাও বন্ধ হয়ে যাবে, মানে হার্ট এট্যাক হয়ে যাবে। হার্ট এর আর্টারি গুলো 3-4 mm মোটা হয়।

✅ হার্ট এ ব্লকেজ হতে কত সময় লাগে?
বছরের পর বছর ধরে ধীরে ধীরে হার্ট ব্লকেজ তৈরী হয়। মানুষ জন্মের পর পর ই ব্লকেজ তৈরী শুরু হয় না। 18-20 বছর বয়স থেকে এই ব্লকেজ তৈরী হতে শুরু করে। 70%, 80%, 90% ব্লকেজ তৈরী হতে কম করে 30-40 বছর সময় লাগে। 50% ব্লকেজ হয়ে গেলেও মানুষ কোনো কষ্ট অনুভব করে না।
কারণ ব্লাড সাপ্লাই এর জন্য আরও 50% বাকি থাকে।

✅ ব্লাড সাপ্লাই এর জন্য হার্ট এর প্রয়োজন 10%, 20%, 30% জায়গা।
10% প্রয়োজন যখন মানুষ বসে থাকে।
20% প্রয়োজন যখন হাঁটা চলা করে।
30% প্রয়োজন যখন মানুষ দৌড়ায়।
যেদিন মানুষের ব্লকেজ 70% এর বেশি হয়ে যায় সেদিন থেকে মানুষ হার্ট এর সমস্যা অনুভব করতে থাকে। সেদিন থেকে কষ্ট শুরু হয়ে যায়।

✅ যদি দৌড়ালে বুকে ব্যাথা অনুভব হয় তবে বুঝতে হবে ব্লকেজ 70% ক্রস করেছে।
যদি হাঁটতে গিয়ে ব্যাথা হয় তাহলে বুঝতে হবে ব্লকেজ 80%।
যদি সামান্য 10 ধাপ হাঁটলেই ব্যাথা হয় তবে বুঝতে হবে ব্লকেজ 90%।

✅ এখানে বোঝা গেলো হার্ট এর পেশেন্ট 70% ব্লকেজ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমস্যা সাধারণত বুঝতে পারে না।

আরও পড়ুন : রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি, কবে থেকে জেনে নিন

✅ হার্ট এট্যাক মানে কি?
70% ব্লকেজ এর পর ধীরে ধীরে ব্লকেজ বাড়তে থাকে। এই ব্লকেজ এর উপর একটা পর্দা থাকে এবং ব্লকেজ বাড়ার সাথে সাথে পর্দাটির উপরেও চাপ তৈরী হতে থাকে। এই চাপ বাড়তে বাড়তে একদিন হঠাৎ পর্দাটা ছিঁড়ে যায়। পর্দা ছিঁড়ার সাথে সাথে পর্দার নিচে থাকা কেমিক্যাল রক্তে গিয়ে মিশে যার ফলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়। রক্ত জমাট বেঁধে গেলে এটাকে বলা হয় “ক্লট”। এটি আর্টারির রাস্তা পুরো পুরি ব্লক করে দেয়। ব্লক 100% হয়ে যায়, হার্ট এ রক্ত পৌঁছতে পারে না তখন এটাকেই বলা হয় “হার্ট অ্যাটাক”।

✅ হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়ঃ
ব্লকেজ 70%, 80%, 90% হয়ে গেলেও চেষ্টা করতে হবে ব্লকেজকে রুখে দেয়া।
ব্লকেজ না বাড়লে পর্দাটা ছিঁড়বে না, হার্ট অ্যাটাকও হবে না।  ভালো হয় পর্দার নিচে জমে থাকা কিছু চর্বি যদি ধীরে ধীরে বের করে দেয়া যায়। সেজন্য নিয়মিত কমকরে হলেও ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। চর্বি জাতীয় খাদ্য বর্জন করতে হবে, ভাত, রুটি, মিষ্টি জাতীয় খাবার কমিয়ে দিতে হবে। শরীরে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

✅ বুকে ব্যাথা অনুভব করলে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথিতে হার্টের সুচিকিৎসা আছে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন