Bangla News Dunia, দীনেশ : পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় মানুষ মারার সময় হাসছিল হামলাকারী জঙ্গিরা। এমনটাই জানিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা ঘটনায় নিহত একজনের স্ত্রী। গুজরাতের বাসিন্দা শৈলেশ কালাথিয়া সপরিবারে ঘুরতে গিয়েছিলেন উপত্যকায়। কিন্তু মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। আর সেই দুঃসহ ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শৈলেশবাবুর স্ত্রী শীতলবেন বলেন, ‘একজন জঙ্গি প্রথমে আমাদের দিকে এগিয়ে এল। আমার স্বামীর ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করেই গুলি করল। আমার স্বামীকে যেমন মেরেছে, একই ভাবে অন্যদেরও গুলি করে মেরেছে শিশুদের সামনেই। আমার স্বামীকে গুলি করে ওরা হাসছিল, মরা না পর্যন্ত জায়গা ছেড়ে নড়েনি ওরা।’
আরও পড়ুন : পহেলগাঁও হামলায় কোন 5 কড়া পদক্ষেপ নিলো ভারত ? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
সেদিন কালাথিয়া দম্পতির সঙ্গে তাঁদের ছেলে মেয়েও ছিলেন সেখানে। ঘটনা প্রসঙ্গে শৈলেশের নাবালক ছেলে এদিন বলে, ‘গুলির শব্দ শুনে আমরা বাঁচার জন্য দৌড়েছিলাম। ২ জন জঙ্গি আমাদের পথ আটকায়, ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করে। ওরা হিন্দু-মুসলিম পরিচয়ের ভিত্তিতে ২ দল আলাদা করে। তারপর আমার বাবা আর বাকিদের গুলি করে মেরে ফেলে।’ প্রসঙ্গত, গুজরাত থেকে শৈলেশ ছাড়াও আরও দুজনের প্রাণ গিয়েছে এই জঙ্গি হামলায়। তাঁরা হলেন যতীশ পারমার এবং তাঁর ছেলে স্মিত পারমার। বৃহস্পতিবার এদের ৩ জনেরই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় নিজ নিজ এলাকায়।
আরও পড়ুন : বিদ্যুৎ বিল কমাতে সরকারের নতুন উদ্যোগ! কি সুবিধা হবে ? বিস্তারিত জেনে নিন
এদিকে বৃহস্পতিবার শৈলেশের শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গুজরাতের বিজেপি সভাপতি সিআর পাতিল। আর তাঁকে সামনে পেয়ে মনের ক্ষোভ উগড়ে দেন নিহত শৈলেশের স্ত্রী শীতলাবেন। তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তাকর্মীরা তখন কী করছিলেন? ওই এলাকায় তো প্রচুর সংখ্যায় নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। কিন্তু কী অদ্ভুত! বৈসরন উপত্যকায় তখন কেউ ছিল না। সাধারণ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাবস্থাটুকুও না।’’
আরও পড়ুন : কিডনি স্টোন গলিয়ে বের করে দেবে এই পাতা, জানতে বিস্তারিত পড়ুন