Bangla News Dunia, Pallab : শুক্রবার জুম্মাবারে হোলি (Holi 2025) পালিত হবে দেশজুড়ে। সেই কারণে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ওইদিন ঘরবন্দি থাকার নিদান দিয়েছেন বিহারের বিজেপি (BJP) বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর বাচাউল। বিসফি বিধানসভা কেন্দ্রের এই বিধায়ক বলেছেন, বছরে ৫২টি জুম্মাবার থাকে। এবার একটি জুম্মাবারে হোলি পড়েছে। তাই মুসলিমদের উচিত, হিন্দুদের হোলি উত্সব পালন করতে দেওয়া। যদি কেউ তাঁদের গায়ে রং-ও দেয়, তাহলে তা নিয়ে রাগারাগি করাও উচিত নয়। তবে যদি মুসলিমদের এতে কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁদের উচিত ওইদিন ঘরবন্দি থাকা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য তাঁদের এটা করা জরুরি। ওই বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য, মুসলিমরা সবসময় দ্বিচারিতা করে। তাঁরা রঙিন আবির বিক্রি করে টাকা উপার্জন করবেন। অথচ তার রং যদি তাঁদের জামায় লাগে, তাহলে তাঁরা নরকযাত্রার ভয়ে ভীত থাকেন। বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য করার উনি কে। এই রাজ্যটা কি ওঁর বাবার। এই দেশ রাম-রহিমে বিশ্বাসী। এটা বিহার। এখানে ৫-৬ জন হিন্দু একজন মুসলিম ভাইকে রক্ষা করার জন্য সবসময় পাশে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন : Google থেকেই ইনকাম হবে লাখ লাখ টাকা। কিভাবে? জেনে নিন 4 সেরা টিপস
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করে আরজেডি নেতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। যখন দলিত মহিলারা নিজেদের অধিকার ও সম্মানের কথা বলেন, তখন উনি তাঁদের বকাবকি করেছিলেন। এখন কি উনি ওই বিধায়ককে তিরস্কার করতে পারবেন। জেডিইউয়ের গায়েও এখন বিজেপি এবং সংঘ পরিবারের রং লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের চেয়ার ছাড়া আর কিছু নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন না। কংগ্রেসও বিজেপি বিধায়ককে একহাত নিয়েছে। দলের বিধায়ক আনন্দ শংকর বলেন, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ইচ্ছা করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করছে। বিতর্কের মুখে জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী জামা খান বলেন, হোলিতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রশাসনকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া আছে।
আরো পড়ুন : রেশনের বদলে নগদ টাকা দেবে সরকার, নতুন নিয়ম আসছে
ঘটনা হল, জুম্মাবারে হোলি উপলক্ষ্যে মুসলিমদের ঘরবন্দি থাকার নিদান এর আগে দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের সম্ভালের পুলিশ আধিকারিক অনুজ চৌধুরী। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে মু্খ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, উনি একজন পালোয়ান। পালোয়ানের মতোই কথা বলেছেন। হোলি তো বছরে একবার হয়। জুম্মা তো প্রত্যেক সপ্তাহে আসে। অনেক মুসলিম ধর্মগুরুও সেই কথা মেনে নিয়েছেন। মসজিদে যাওয়া তো বাধ্যতামূলক নয়। যদি যেতেই হয় তাহলে যেন রং নিয়ে মাথা না ঘামান। ওই পুলিশ আধিকারিক মিষ্টি কথায় বুঝিয়ে বলেছেন।