Bangla News Dunia, Pallab : লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের লক্ষ্য হল মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা যাতে ছোটখাটো খরচের জন্য স্বামী বা সন্তানদের উপর নির্ভর করতে না হয়। এই প্রকল্পটি যোগ্য মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা প্রদান করে। তবে, ক্যানিং মহকুমার ঘুটিয়ারিশ্রিফের একজন রাঁধুনি আকলিমা গাজী নামে একজন মহিলা ১০০০ টাকার বদলে ৭০০ টাকা করে পাচ্ছেন। এবার তবে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও জালিয়াতি শুরু?
রাস্তার ধারের একটি হোটেলে রাঁধুনি হিসেবে কাজ করা আকলিমার আয় সামান্য, যা তাঁর পরিবারের ভরণপোষণের জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি আয়ের একটি প্রধান উৎস হিসেবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপর নির্ভর করেন।
আরও পড়ুন : Google থেকেই ইনকাম হবে লাখ লাখ টাকা। কিভাবে? জেনে নিন 4 সেরা টিপস
কিন্তু, প্রতিবার যখন তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০০ টাকা তোলার চেষ্টা করেন, তখন স্থানীয় দোকানদার সেই টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেটে নেন বলে অভিযোগ। আকলিমার কাছে পুরো ১০০০ টাকার পরিবর্তে মাত্র ৭০০ টাকা আসে।
অভিযোগ ও তদন্ত
সোমবার আকলিমা মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে দোকানদার প্রতি মাসে ৩০০ টাকা কেটে নিচ্ছেন, এবং এই মাসে, যখন তিনি টাকা তোলার চেষ্টা করেছিলেন, তখন পুরো টাকাই শেষ হয়ে গেছে।
দোকানদার দাবি করেছেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টে মাত্র ১৪ টাকা অবশিষ্ট ছিল। আকলিমা অন্য একটি উৎস থেকে খোঁজ নিয়ে দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো ১০০০ টাকাই তোলা হয়েছে।
দোকানদারের প্রতিক্রিয়া
দোকানদারের মুখোমুখি হওয়ার পর, আকলিমাকে একটি ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখানো হয়। দোকানদার তখন স্বীকার করেন যে তিনি তাঁর কাছ থেকে ৩০০ টাকা কেটে নিয়েছেন এবং পুরো ১০০০ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি কাউকে না জানাতেও অনুরোধ করেছেন।