Bangla News Dunia, Pallab : বর্তমানের মূল্য বৃদ্ধির বাজারে মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার ইনকাম করা খুবই সামান্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।কেননা অনেক মানুষ রয়েছে যার দৈনিক ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচে হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি হোক কিংবা অন্য কোন ইনকাম সোর্স সংসার চালানো প্রায় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সময়ে মানুষ স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে তার পরিবারকে চালাতে গেলে কমপক্ষে মাসে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা দরকার। আপনি কোন আগের ব্যবসায়ী হন কিংবা চাকরিজীবী এবার আপনার জন্য এমন এক ইনকাম কোর্স নিয়ে আসা হয়েছে যেখানে বাস্তবে একজন মাসিক আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করেছে।
আরও পড়ুন : ভারতীয় পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন 2025 – সম্পূর্ণ গাইড বাংলায়
আপনি যদি একজন নতুন ব্যবসার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন কিংবা কোন চাকরি করে থাকেন তার পাশাপাশি নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এই প্রতিবেদন আপনারই জন্য। আজকে আমরা এমন একটি ব্যবসার আইডিয়া দিতে যাচ্ছি যেখানে সামান্য পরিমাণ জমি থাকলেই এটি শুরু করতে পারবেন এবং এর জন্য যেতে হবে না কোথাও। বাড়িতে থেকে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং মাসিক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আজকে যে ব্যবসা সম্পর্কে পড়তে যাচ্ছি সেটি হল টমেটো চাষ।
বর্তমান দৈনন্দিন জীবনে টমেটো এমন একটি সবজি যার চাহিদা সারা বছর জুড়েই থাকে। রান্নাঘরের প্রতিটি পদে টমেটোর ব্যবহার অপরিহার্য যা সকলের জানা আছে। এর ফলে বাজারে এর কখনও চাহিদা কমে না বরং অসময়ে এর চাহিদা আরো বেড়ে যায়। আর বর্ষাকালে যখন অন্যান্য অনেক সবজির দাম ওঠানামা করে, তখন টমেটোর দাম তুলনামূলকভাবে বেড়ে থাকে। ঠিক এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন অনেক তরুণ কৃষক ব্যবসীরা। শুধু নিজেদের জমিতে নয়, অনেকে লিজ নেওয়া জমিতেও টমেটো চাষ করে মাসে লাখ টাকার উপার্জন করছেন।
ভারতের লখনউয়ের এক তরুণ কৃষক শুভম মিশ্র এর বাস্তব উদাহরণ। তিনি মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে বর্ষার মরসুমে টমেটো চাষ করা শুরু করেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই অল্প বিনিয়োগেই তিনি প্রতি মৌসুমে ২ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হয় তার। এতে যেমন সময়ের সাশ্রয় হয়, তেমনি শ্রমও তুলনামূলকভাবে খুব কম লাগে। এটি শুধু একটি ব্যবসায়িক মডেল নয়, বরং গ্রামের যুব সমাজের জন্য একটি কার্যকরী এবং অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগও হতে চলেছে।
টমেটো চাষের পদ্ধতি সহজ হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করতে হয় এতে। সর্ব প্রথমেই একটি উপযুক্ত জমি বাছাই করতে হয়, যা বর্ষাকালের জলের প্রবাহ সহজেই সহ্য করতে পারে। এরপর প্রয়োজন হয় ভাল মানের টমেটোর বীজ সংগ্রহ করা। বীজ থেকে নার্সারি তৈরি করার পর, সেই চারা ২০-২৫ দিন বয়স হলে জমিতে রোপণ করতে হবে। জমি ভালোভাবে ২-৩ বার চাষ করে সেখানে কেয়ারি বা মাচা তৈরি করা দরকার, যাতে গাছগুলি সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে সহজেই।
রোপণের পরে গাছগুলিকে সোজা রাখতে ও ঝড়ে বা ভারসাম্যহীনতায় না পড়তে গাছের পাশে খুঁটি বা বাঁশ দিয়ে সাপোর্ট দিতে হবে। এই কাজটি অনেক সময় উপেক্ষা করা হয়, যার ফলে ফসল ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে প্রচুর। এর পাশাপাশি নিয়মিত সেচ দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার রাখা, পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশকের ছিটানো—এসব বিষয়গুলোও অত্যন্ত জরুরি বিষয়।
চাষ শুরুর ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে প্রথম ফলন পাওয়া শুরু হয়ে যায়। গাছের যত্ন ঠিকঠাক থাকলে একেকটি গাছ থেকে প্রচুর টমেটো পাওয়া সম্ভব। আর সঠিক সময়ে বাজারে বিক্রি করতে পারলে দামও পাওয়া যায় বেশ ভালো। অনেক সময় ১ কেজি টমেটোর দাম ৫০ টাকা বা তারও বেশি উঠে দাড়াই, বিশেষ করে যখন বাজারে চাহিদা বাড়ে এবং জোগান কম থাকে।