Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ইতিহাসের পাতায় ভারত পেরিয়ে এসেছে অনেকটা রাস্তা। চলার রাস্তায় কখনো বিদেশি শক্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে, কখনও দরকার হয়ে পড়েছে সমাজ সংস্কারের। এই দীর্ঘ পথ জুড়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন মনীষীরা, সমালোচনা অবজ্ঞা করে দেশকে ভালোবেসে আত্মত্যাগ আর আদর্শের পথে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। এই রকম একজন মানুষের আজ ২৫০তম জন্মবার্ষিকী। রাজা রামমোহন রায় একজনই ছিলেন যার প্রদর্শিত পথে দেশ দেখেছিল পরিবর্তনের রূপ। সাহিত্য, ধর্ম, শিক্ষা বিজ্ঞান, সমাজ নীতি, রাষ্ট্রনীতি— সর্বত্রই আপামর ভারতবাসীকে আধুনিকতার পাঠ দিয়েছিলেন রাজা রামমোহন রায়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারত পথিক বলেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ। প্রথম বিলেত যাত্রী।
গত ২৫০ বছরে দেশ বদলেছে অনেকটাই। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ভারত আজ স্বাধীন। আজকের ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার বুনিয়াদের উপর দাঁড়িয়ে। তাই গণিত, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, রসায়ন, সমাজ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পদার্থ বিদ্যার সহাবস্থান রয়েছে ভারতের স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে। বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহের রাস্তা ছেড়ে ভারত আজ আধুনিক। সতীদাহ আজ স্রেফ অন্ধকার অতীত। ১৮২৯ সালের যেদিন গভর্নর জেনারেল বেন্টিং আইনের মাধ্যমে সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন, সেদিন শুরু হয় ভারতীয় সমাজে এক নতুন অধ্যায়। শিক্ষা বিস্তারে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আজ দেশের প্রতিটি স্তরে সমাজ সসম্মানে নারীরা ভূষিত। দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নারী, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও বিভিন্ন রাজ্যে নারীরা রয়েছেন। ভারতের প্রথম সংবাদপত্রের সাথেও সরাসরি যোগাযোগ ছিল রাজা রামমোহন রায়ের। এই দেশ শুধু কৃতজ্ঞ নয়, বরং তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে যাবে সামনের দিনে। ভারতকে বিশ্বগুরু বানাতে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তার মধ্যে এই ব্যক্তি অন্যতম। শিক্ষা ও সমাজ সংস্কার সব ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল