Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সংখ্য়ারিষ্ঠ আসন পেলে কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন? এনিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই জল্পনা রয়েছে। তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও এনিয়ে অনেকে অনকে সময় নানা মন্তব্য করেছেন। অনেকেই মনে করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে এবার অভিষেকের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা উচিত। তবে, অভিষেক নিজে কী ভাবছেন? নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের কর্মীসভায় পরিষ্কার করে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
কী বলেছেন অভিষেক?
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ নেতাজি ইন্ডোরে আসনে অভিষেক। দলরে কয়েকজন নেতার পরে তিনি ভাষণ দিতে ওঠেন। অভিষেক বলেন,’২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা ২১৪টা আসন পেয়েছিলাম। আমাদের সেই লক্ষেই, সেই মাপকাঠিতে এগিয়ে যেতে হবে। এবার ২১৫-র বেশি আসন নিয়ে চতুর্থবার যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হন, সেটা আমাদের সকলকে সুনিশ্চিত করতে হবে। লড়াইয়ে এক ছটাক জমি ছাড়া যাবে না। সব কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কাজে নামতে হবে। কে কবে ফোন করে নির্দেশ দেবেন সেটা করলে হবে না। নিজেরা নেমে পড়ুন। যারা দলকে ভালবাসেন তাঁরা এখনই নেমে পড়ুন আর মানুষের কাছে যান।’
আরও পড়ুন:- জালিয়াতি এড়াতে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আধার ? বিস্তারিত জেনে নিন
এরপরেই দলের কর্মীদের শৃঙ্খলার পাঠ দেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৭ লক্ষের বেশি ভোটে জেতার পরে তিনমাস ঘুমোতে পারিনি। ভেবেছি এই ঋণ কী করে পরিশোধ করব, এই ভালবাসা কী করে পরিশোধ করব। তারপর মানুষের কাছে সেবাশ্রয় নিয়ে গিয়েছি। নিজের কাছে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখলে হবে না। এই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন। আর কর্মীদের ত্যাগ, তিতিক্ষা আর কৃচ্ছ্রসাধনে বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। যারা বুথে বসে প্রাণ দিয়ে পোস্টার মারছেন, ব্যনার লাগাচ্ছেন, দেওয়াল লিখছেন, মিছিলে হাঁটছেন, তাঁরাই তৃণমূল কংগ্রেসের আসল সম্পদ। যতদিন আপনারা আছেন, ততদিন বিজপির চক্রবূহ্য ভেঙে চুরমার করে দেব। আগেও দিয়েছিলাম। ২০২৬ সালে আমাদের ২০১৫-র বেশি আসনে জিততে হবে। আগামী ১ বছর সব কিছু ভুলে গিয়ে সরকারের জনমুখী প্রকল্পের প্রচার করুন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রাজনীতি করবেন না। নেতারা ক্ষমতা দেখাতে গেলে দলকে ছোট করবেন না। যারা চক্রান্ত ককবেন তাঁরাই আক্রান্ত হবেন। যারা এসব করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। আগামীতে দলের সঙ্গে আবার যদি কেউ বেইমানি করে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বাংলা ছাড়া করার দায়িত্ব আমি নিলাম।’
এরপরেই অভিষেক গলার সুর চড়িয়ে বলেন,’আমি বেইমান নই। বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আমি নাকি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। আমার গলা কেটে দিলে, কাটা গলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বেরোবে।’
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের চার্জশিটে তাঁর নাম প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘খবরে বলছে আমার বিরুদ্ধে নাকি সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে। দু’জায়গায় খালি অভিষেকের নাম লিখেছে। কে অভিষেক, বাড়ি কোথায়, বাবা কে, কোনও পরিচয় লেখা নেই। সিবিআই ভাববাচ্যে কথা বলছে। ওদের এই ভয় আমার ভাল লেগেছে। আগেও বলেছিলাম, কেউ কোনও দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে, ফাঁসির মঞ্চে চলে যাব।’
আরও পড়ুন:- পঞ্চায়েত বিকেন্দ্রীকরণে দেশের সেরা মমতা’র বাংলা, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আরও পড়ুন:- জন বার্লা-সহ বাংলার 32 বিজেপি নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার কেন্দ্রের, রইলো তালিকা