২ বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ! ময়নাতদন্তের ভিন্ন রিপোর্টে বিস্মিত বিচারপতি

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : জলসা দেখতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে নিখোঁজ হয়েছিলেন দুই বিজেপি কর্মী। পরবর্তীতে দুই কর্মীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই ফের ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃতদের পরিবার। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয় এসএসকেএম-হাসপাতালে। সেখানে আসে ভিন্ন রিপোর্ট। এই রিপোর্টে স্পষ্ট মৃত দুই বিজেপি কর্মীর দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দুটি মেডিকেল কলেজে দুই রকম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

আরও পড়ুন : চাঁদে মানুষ পাঠাচ্ছে ভারত, ইতিহাস গড়ার পথে ISRO

জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে ভোররাতে উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মী সুজিত দাস আর সুধীর পাইকের মৃতদেহ। জলসা দেখতে গিয়েছিলেন দুজন। তারপরই এমন মর্মান্তিক পরিণতি। দুজনেরই পরিবার এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ করে। এমনকী, এই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বনধের ডাকও দিয়েছিলেন। পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে। সেই রিপোর্টে বলা হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ফের ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃতদের পরিবার। কিন্তু, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আবেদন খারিজের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় দুটি পরিবার। এরপর ডিভিশন বেঞ্চ পরিবার দুটির আর্জি মেনে নেয়। পাশাপাশি নির্দেশ দেয় এই মামলা চলবে বিচারপতি ঘোষের একক বেঞ্চে।

হাইকোর্টের নির্দেশ মতো দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয় এসএসকেএম-হাসপাতালে। সেখানে আসে ভিন্ন রিপোর্ট। এই রিপোর্টে দেহ দুটিতে আঘাতের চিহ্নের উল্লেখ রয়েছে। যা প্রমাণ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট নয়, খুন করা হয়েছে তাঁদের।

মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট দেখে বিরক্ত হন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “এই মামলা নিয়ে আমি খুব বিরক্ত। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দেহে আঘাতের চিহ্ন আছে।”বিচারপতি ঘোষের প্রশ্ন, “মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের রিপোর্টের সঙ্গে এসএসকেএম-এর রিপোর্টের পার্থক্য রয়েছে। এরকম কেন হবে? অনেক দূরবর্তী জেলার ক্ষেত্রেই এরকম দেখা যাচ্ছে। জেলার ফরেন্সিক আধিকারিকরা কি অভিজ্ঞ নন? নাকি তাদের স্থানীয় ব্যক্তিদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে?” তাঁর আরও মন্তব্য,”তদন্তকারী সংস্থায় পরিবর্তন করতে হবে। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের নিযুক্ত করতে হবে।”

বিচারপতি বলেন, “আগে আপনারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে ধরে নিয়ে তদন্ত করছিলেন, এখন তো খুনের ধারায় মামলা হবে। পুরো তদন্তের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।” ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এবং তদন্তকারী আধিকারিকদের ভূমিকা এখন প্রশ্নের মুখে। প্রয়োজনে পদক্ষেপ করতে হবে।”

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন