Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আদালতের নির্দেশে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এর ফলে প্রায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক আজ আশঙ্কার মুখে দাড়িয়ে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাম্প্রতিক মন্তব্য কিছুটা হলেও স্বস্তির হাওয়া বয়ে এনেছে! ২০২৩ সালে ১৬ মে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি ৩২০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু পরে সেটা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক কি চাকরি হারাতে চলেছেন?
আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৮ শে এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টে তপোব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রত কুমার মিত্রের বেঞ্চে এই মামলার পুরো শুনানি রয়েছে এবং এইবারে কোন না কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, আমরা চাকরি দি আমাদের ভরসা করুন, যারা চাকরি খায় তাদের না! কোর্টে মামলা করার জন্য অনেকে চাকরি বাতিল হচ্ছে এবং নতুন চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না।
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস “সরকার শিক্ষক ছাঁটাই চায় না”
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা শিক্ষক ছাঁটাই চাই না, শিক্ষকদের পাশে আছি, তিনি জানান, রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে, শিক্ষার মান বজায় রাখতে এবং শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে সব রকম চেষ্টা চালানো হবে। কিন্তু এখন আগামী সোমবারে কি হতে চলেছে সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলেই। এই সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা
- ২০১৬ সালের TET পরীক্ষায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা অভিযোগে আদালত প্রশ্ন তোলে।
- প্রায় ৩২ হাজার নিয়োগকে অবৈধ বলার পাশাপাশি, অনেক ক্ষেত্রেই ভুল নিয়োগের অভিযোগ ওঠে।
- হাই কোর্ট রায় দেয়, যাঁদের নিয়োগে গলদ ছিল, তাঁদের পুনরায় যাচাই করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের মনোভাব অনিশ্চয়তা ও প্রত্যাশার মাঝখানে
- অনেক শিক্ষক মনে করছেন, “চাকরি থাকবে কি না, এই চিন্তায় ঠিক মতো ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না।”
- কেউ কেউ আবার বলছেন, “সরকার পাশে থাকলে নিশ্চয়ই সমাধান হবে।”
- “আমরা পরিশ্রম করে এখানে এসেছি।”
- “আশা করি, রাজনৈতিক নয়, মানবিক বিচার হবে।”
- “ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎও যেন ধাক্কা না খায়।”
শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রভাব
রাজ্যের বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই শিক্ষকরাই শিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন, হঠাৎ করে এত শিক্ষক চলে গেলে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধাক্কা লাগবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে Supreme Court এ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে! এমনটাই মনে করছেন অনেকেই। আর এই নির্দেশের ওপরে চাকরি থাকবে কি না, নতুন করে পরীক্ষা বা যাচাই হবে কি না, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে হবে কি না সেই সম্পর্কে জানতে পারা যাবে।
আরও পড়ুন:- সম্পূর্ণ বন্ধ বাণিজ্য! কত কোটির ক্ষতির মুখে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ? জেনে নিন